হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী চুনারুঘাট সরকারি কলেজে ছাত্রছাত্রীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, চুনারুঘাট সরকারি কলেজের ২০১৮/১৯ সেশনের করোনাকলীন সময়ে প্রায় আট’শ ছাত্রছাত্রীর পরিক্ষা ফি বাবদ চার লক্ষ আশি হাজার টাকা ফেরত যোগ্য হলেও আজ পর্যন্ত সে টাকা ফেরত দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ছাত্রছাত্রী জানান, সময়ক্ষেপন আর দায়িত্বরত ব্যক্তিদের টালবাহানায় ২০২১ সালে শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা ফি বাবত মওকুফ করা ফেরতযোগ্য এই অর্থ পরিশোধ যোগ্য হলেও আজও পরিপূর্ণ ভাবে ছাত্রছাত্রীদের এই অর্থ ফেরত প্রদান করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ দেখে বুঝে আনুমানিক ৪০/৪৫ জন ছাত্রছাত্রীদের টাকা ফেরত দেয়ার মধ্যে দিয়ে বাকি অর্থ আত্মসাৎতের পায়তারা করে চলছে। এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বারবার চেষ্টা করেও বঞ্চিত হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ নবী হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তখনকার সময়ে আমি ছিলাম না। অন্য একজন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমাদের কলেজের শিক্ষার্থী ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমানের অভিযোগের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে পরিচালনা কমিটিসহ অভিযোগকারীদের নিয়ে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিষয়টি এলোমেলো হয়েছিল। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করা হবে।
এ বিষয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইমরুল কবিরের সঙ্গে কথা হলে তিনিও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২০১৮/১৯ সেশনের পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন রবিউল ইসলাম। নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে এই অর্থ ফেরত দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে সকলের টাকাই পরিশোধ করে দেওয়া হবে।
কতজন কে ফেরত দেয়া হয়েছে জানতে চাওয়া হলে কোন সদোত্তর দিতে পারেন নি তিনি। বরং পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলেন। কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
এ বিষয় অভিযোগকারী কলেজ শিক্ষার্থী ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন কালক্ষেপণ হওয়ায় আমি স্যারদের সাথে যোগাযোগ করে ছাত্রছাত্রীদের অর্থ ফেরত দেয়ার চেষ্টা করেছি। কোন সুরাহা না হওয়ায় অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। আজকে বসার কথা থাকলেও দায়িত্বরত স্যার অনুপস্থিত থাকায় সম্ভব হয় নি।