‘কোনো দলকে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। আর সমাবেশের নামে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের মতো ব্যবস্থা নেবে।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ।
তিনি আরও বলেন, ‘দুই দলের জন্য একই নির্দেশনা থাকবে। এখন পর্যন্ত আমরা কাউকে অনুমতি দিইনি। আমাদের কমিশনার (ঢাকার পুলিশ কমিশনার) সাহেব এখন বসবেন। সিটি করপোরেশনের পুলিশ কমিশনার এটি নিয়ন্ত্রণ করেন থাকেন। তিনি বসে সিদ্ধান্ত নেবেন কি করবেন।”
বিএনপির মহাসমাবেশ হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। সেজন্য নয়া পল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়েছিল দলটি। এর পাল্টায় আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ বৃহস্পতিবার বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেই শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল।
কিন্তু বৃহস্পতিবার কার্যদিবস হওয়ায় ঢাকা মহানগর পুলিশ কোনো দলকেই অনুমতি দিচ্ছিল না। বিএনপিকে সমাবেশের জন্য গোলাপবাগ মাঠ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছিল পুলিশের তরফ থেকে। এ পরিস্থিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কর্মসূচি এক দিন পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে আওয়ামীলগের তিন সংগঠনের শান্তি সমাবেশ একদিন পিছিয়ে শুক্রবার বিকাল ৩টায় নেওয়া হয়েছে। শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে সেই কর্মসূচি হবে।
তবে বৃহস্পতিবার আবারও সেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনে যুবলীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান জানান, শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে শান্তি সমাবেশ করার জন্য আবারও অনুমতি চেয়েছেন তারা। বিকাল ৩টায় সেখানে সমাবেশ হবে।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম