নবীগঞ্জে জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে গিয়ে বাড়ী ফেরা হলোনা কৃষক রফিক মিয়ার। পল্লীবিদ্যুৎ এর খুঁটির মাথা থেকে ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তারের সাথে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান চার সন্তানের জনক রফিক মিয়া।
তিনি উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের শ্রীধর পুর গ্রামের মৃত উসমান উল্লার পুত্র।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও কৃষকের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে কৃষক মোঃ রফিক মিয়া বাড়ির পাশ্ববর্তী (হাওরে) তার জমিতে ধানের চারা রোপণ করার সময়, হঠাৎ পল্লী বিদ্যুৎ এর খুঁটির মাথা থেকে ঝুলন্ত কাঠ ও তার কৃষকের ওপর পরে গেলে তিনি বিদ্যুৎ এর তারের সাথে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
এসময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে তারের সাথে জড়ানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্রে কল করলে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোসলেহ উদ্দীন আহমেদসহ একদল পুলিশ লাশটি পুলিশ হেফাজতে থানায় নিয়ে যান।
এদিকে এ ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের এ,জি,এম মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটা একটি দূর্ঘটনা ও দু:খজনক সংবাদ, আমরা সরেজমিনে তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
কৃষকের গ্রামের বাসিন্দা, বিশিষ্ট আইনজীবী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুজিবুর রহমান কাজল বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক, আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আরো সচেতনতা অবলম্বন করবেন ও সদ্য প্রয়াত কৃষক পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন।
এদিকে জমিতে ধান চারা রোপণ করতে গিয়ে কৃষকের এ মৃত্যুকে গ্রামবাসী দূর্ঘটনা মানতে নারাজ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন জরাজীর্ণ কাঠের বিষয়টি এর আগেও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের এজিএম।