সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে মসজিদের কাঁঠাল নিলামকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আরও ১ জন মারা গেছেন।
নিহত মুখলেছুর রহমান (৬০) হাসনাবাদ গ্রামের মালদার পক্ষের মৃত আজির মোহাম্মদের ছেলে। এনিয়ে উভয় পক্ষের দু’জন করে মোট ৪ জনের প্রাণহানী ঘটেছে।
সোমবার (১০ জুলাই) সকালে সংঘর্ষে আহত হয়ে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গ্রেপ্তার আতংকে আত্মগোপনে ছিলেন। সোমবার রাতে আত্মীয়ের বাড়িতে মারা যান তিনি। মুখলেছুর রহমানের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত শুক্রবার (৭ জুলাই) জুম্মার নামাজের পর মসজিদের একটি কাঁঠার নিলামে নেওয়া হয়। নিলামে অন্যান্যদের সাথে অংশগ্রহণ করেন এই গ্রামের মালদর পক্ষের শেখ মিয়া, খচরু মিয়া ও মইনুর ইসলাম। এদের মধ্য খচরু মিয়া কাঁঠালটি কিনে নেন। কাঁঠাল নিলামের পর দ্বীন ইসলাম পক্ষের আবদুল বাহার বলেন কাঁঠালটি আরও বেশি দামে বিক্রি হতে পারতো। তাছাড়া সেই নিলামের ডাকের কথা শোনা যায়নি বলেও অভিযোগ করেন একপক্ষ। এ নিয়ে ক্রেতা খচরু ও বাহারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে গত দু’দিন ধরে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মিলে তাদেরকে ঝগড়াঝাটি থেকে বিরত থাকতে একাধিবার বুঝিয়েছেন। তারা তা বুঝেননি। ঘটনার আগেরদিন রাতে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বাসিত সুজন হাসনাবাজ গ্রামে এসে দুই পক্ষকে বিচার শালিস মানিয়ে যান। ঘটনার দিন সকালেও তিনি এসেছিলেন এবং উভয় পক্ষকে বুঝিয়েছেন। পুলিশও উভয় পক্ষের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের বার বার সাবধান করে দিয়েছিলো। বিচার শালিস মেনে নেওয়ার পরও সকালে উভয়পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এব্যাপারে জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাছিত সুজন জানান, গতকাল রোববার রাতে এবং আজকে ভোরে -হাসনাবাজ গ্রামে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের সাথে আলাদা আলাদাভাবে বৈঠক করে কথা বলেছি। উভয় পক্ষের লোকজন আমাকে আশ্বস্থ করেছিলেন যে কোন পক্ষই মারাামরিতে যাবেন না। এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের শান্ত করে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে চলে আসি। আমি চলে আসার পর শুনতে পাই উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা খুবই দুঃখজনক।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম