সিলেটের গোয়াইনঘাটের পূর্ব জাফলং এলাকার শিশু গৃহকর্মী মোছা.জান্নাত আক্তারকে(১৩) নির্যাতনকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত। এসময় গৃহকর্মী নির্যাতনের সাথে জড়িত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ নার্স শাহনাজ আক্তার সাবিহাসহ সকল আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নবাসী।
শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকালে সানকী ভাঙ্গা নতুন বাজার এলকায় ব্রীজ’র উপর মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, দিন মজুর হত দরিদ্র মো.জাকির হোসেন খান’র মেয়ে গৃহকর্মী মোছা.জান্নাত আক্তার-কে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের সাথে জড়িত সকল আসামীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, ছয় কন্যা সন্তানের জনক দিন মুজুর জাকির হোসেন’র সংসারের অসচ্ছলতা ,দরিদ্রতার সুযোগে নিয়ে তার মেয়ে জান্নাতকে মাসিক ১৫’শ টাকা বেতনে, গৃহপরিচালিকার কাজে সিওমেক হাসপাতালের স্টাফ নার্স জাফলং চৈলাখেল ৮ম খন্ড গ্রামের দুলু মেম্বারের মেয়ে শাহনাজ আক্তার সাবিহা সিলেটের একটি বাসায় নিয়ে যায়। বিভিন্ন সময় পান থেকে চুন খসলেই ওই গৃহপরিচারিকাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্টীলের খুন্তি গরম করে ছ্যাকা দিত। কিন্তু অভাবের সংসার অসহায় দিন মুজুর বাবার কথা চিন্তা করে কখনো মূখ খোলেনি।
শিশুটির অসহাত্বের সুযোগ নিয়ে শাহনাজ আক্তার সাবিহারা যে অন্যায়, অবিচার এবং অমানুষিক নির্যাতন করেছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতিও আহবান জানান এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, চুরির অপবাদ ও ভাত বেশী খাওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে গৃহকর্মী জান্নাতের সমস্ত শরীরে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা, মারধর ও অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে গত ৩ জুলাই কোতোয়ালি মডেল থানায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল( সিওমেক) স্টাফ নার্স শাহনাজ আক্তার সাবিহাকে প্রধান আসামী করে আরো ২ জনের নাম উল্লেখ করে নির্যাতিতার বাবা মো.জাকির হোসেন খান বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলেন- গোয়াইনঘাট উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের ছৈলাখেল ৮ম খন্ড গ্রামের দুলু মেম্বারের মেয়ে শাহনাজ আক্তার সাবিহা (৩৬), সাবিহার স্বামী পলাশ মিয়া(৩৮) ও ছোট বোন রেহেনা আক্তার রুমি(২৪)। মামলা দায়েরের চার দিন পরও এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।