সাইবার ক্রাইম কিংবা যৌন হয়রানী, প্রতিরোধে আছে এপিবিএন

বর্তমান সময়ে সাইবার ক্রাইম একটি বড় সমস্যা। রয়েছে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা, মোবাইলে বা সামাজিকভাবে যৌন হয়রানী। কিংবা শখের মোবাইল ফোন হারিয়ে বেকায়দায়, কিন্তু প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও উদ্ধার হচ্ছে না। এসব সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে ৭-আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

এসবের পাশাপাশি শুধুমাত্র মামলা গ্রহণ ছাড়া পুলিশ প্রশাসনের স্বাভাবিক সব কাজই করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এই বাহিনীটি।

শনিবার (২৫ জুন) বিকেলে সিলেটের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ৭-আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, সিলেট এর অধিনায়ক, অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার ফরিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

সিলেট শহরতলীর লালাবাজারস্থ এপিবিএন-৭ এর সদরদপ্তরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় তিনি নিজেদের কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। বলেন, সাধারণ মানুষ এপিবিএন এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানে না বলেই সেরকমভাবে সেবা নিচ্ছে না। মূলত, সাংবাদিকদের মাধ্যমে এপিবিএন-এর সেবার বার্তা পৌছে দিতেই এই মতবিনিময়।

আরও পড়ুন : সিলেট নগরে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহীর

তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বে বাংলাদেশের সাইবার ক্রাইম একটি বড় সমস্যা। রয়েছে বিকাশকেন্দ্রিক প্রতারণা, মোবাইলে বা সামাজিকভাবে যৌন হয়রানীর ঘটনাও এখন হরহামেশা ঘটছে। কিন্তু সঠিকভাবে আইনি সহযোগিতা পাচ্ছে না, আবার অনেক ভয়ে-সংকোচে আইনি সহযোগিতা নিচ্ছে না। এসব বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়েই কাজ করছে এপিবিএন।

এসময় তিনি চুরি বা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার, হ্যাক হওয়া ফেসবুক আইডি ইমেইল উদ্ধার, বিকাশের প্রতারণা রোধ, যৌন হয়রানী রোধ ও মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের হয়রানি রোধে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন।

বলেন, এসব ঘটনায় কোন মামলা বা অভিযোগ না হলেও অপরাধ রোধে কাজ করে থাকে এপিবিএন। তবে, এপিবিএন-এর কাছে যাওয়ার আগে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আইনি ভীত শক্ত হয় এবং তাদের কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা হয়। এছাড়া মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে এপিবিএন-এর দ্বারস্থ হতে পারেন যে কেউ। কোন ধরণের হয়রানী ছাড়াই এপিবিএন ভিকটিমের পাশে থাকবে।

তিনি বলেন, যেকোনো বিপদে ৯৯৯-এ কল করেও এপিবিএন-এর সেবা নিতে পারবেন যে কোন ভুক্তভোগী। তাছাড়া মাদক উদ্ধার, সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারসহ অপরাধ ধমনে তাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।

মতবিনিময়কালে নিজেদের সম্পর্কে এপিবিএন-৭ এর অধিনায়ক জানান, সিলেট বিভাগের ৪ জেলা সিলেট মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া, নরসিংদি জেলার পাশাপাশি খাগড়াছড়ি জেলায় রয়েছে তাদের কাজের পরিধি। এছাড়া ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সিলেটের নিরাপত্তার পাশাপাশি অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা স্বর্ণের বার, মাদক, সিগারেট এবং বর্হিগমন যাত্রীদের কাছ থেকে আগর, জর্দা ইত্যাদি উদ্ধারকাজ করে এপিবিএন। এসময় তিনি অপরাধ দমনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, ৭-এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন এন্ড বিকিউএম) মফিজুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক মাঈন উদ্দিন এবং মিডিয়া অফিসার এএসআই পাবেলসহ সিলেট প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, ইমজার নেতৃবৃন্দ।