জগন্নাথপুরে মশলার বাজারে আগুন

ঈদ ঘনিয়ে আসলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া যেনো এক অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এ বছর ইতোমধ্যেই বেড়েছে এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, রসুন, আদা, শুকনো মরিচ, হলুদ, জিরা ও তেজপাতার পেঁয়াজের দাম। উৎসব মৌসুমের অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছেন বলে খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ।

রবিবার (২৫ জুন) বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের কেরালা ও তামিলনাড়ু থেকে আমদানি করা এলপ্পি গ্রিন এলাচ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে। সেই এলাচই খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে। এক মাস আগেও এই এলাচ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একমাস আগেও ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রিত প্রতিকেজি দেশি আদা ৩০০ টাকা। একই হারে বেড়েছে গুড়া মসলার দাম।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, আমদানি করা রসুনের চাহিদাই বেশি। বর্তমানে এ ধরনের রসুন ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা আর দেশি রসুন ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা বেড়েছে রসুনের দাম। এছাড়া গুঁড়ো মসলার মধ্যে হলুদ প্রতি কেজি ২০০-২২০, মরিচ ১৫০-২০০, ধনে ১৮০-২২০ টাকা এবং তেজপাতা ১৭০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ ও ভোজ্য তেলের দাম সেই তুলনায় তেমন বাড়েনি।

আলাপ হয় জগন্নাথপুর বাজারে মসলা কিনতে আসা নিশি রায়ের সাথে। মসলার মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, এদেশে জিনিসের দাম বাড়তে ঈদ লাগে না, বরং সব সময়ই দাম বাড়তি থাকে। গত সপ্তাহে রসুন, গুঁড়া হলুদ ও গুঁড়া মরিচ কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে। আগে থেকেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। একই সঙ্গে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে সবজি, মসুর ডাল ও মাছের দাম।

জগন্নাথপুর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এবার মসলার দাম বাড়ায়, আমরাও বিক্রি করতে পারছি না। লোকে দাম শুনে চলে যায়। তিনি বলেন, আমাদেরকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই চাইলেও খুচরা বাজারে দাম কমানো সম্ভব হবে না।

একটি সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ধরনের মসলার দাম আগের বছরের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। অন্যান্য বছর কম মজুদের অজুহাত দেখালেও এবার পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও বেড়েই চলেছে মসলার দাম। এ ধরনের পরিস্থিতির উন্নতি বা পরিবর্তনেরও তেমন লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা বাজার মনিটর করছি,কেউ বেশি দামে মসলা বিক্রি করতে পারবে না। মনিটরিং টিম মাঠে কাজ করছে, অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।