সিলেটের গোলাপগঞ্জে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি পরিবারকে প্রাণে হত্যার হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (২৪ জুন) বিকেল ৩টায় পৌর শহরের মার্ভেলাস টাওয়ারে গোলাপগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবারে সদস্য তানভীর আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- ‘বিগত ১৯৯৭ সাল থেকে আমাদের নিকটাত্মীয় তাহির আলী ও কেরামত আলী গংদের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। এরপরও দীর্ঘদিন ধরে তারা আমাদেরকে হুমকি ধমকি ও প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে আসছে।
এমতাবস্থায় গত ৯ জুন তাহির আলীর ভাই কেরামত আলীর নেতৃত্বে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাঁর গংরা আমার চাচা জহির উদ্দিনের বাড়িতে এসে গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় আমার চাচাতো ভাই সুহেল আহমদ ঘর থেকে বের হয়ে গালাগালির কারণ জানতে চাইলে কেরামত আলীর নেতৃত্বে আবুল কালাম আজাদ, নাদাই আহমদ আমার চাচাতো ভাই সুহেল আহমদের উপর হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে কেরামত আলী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী থানা পুলিশকে খবর দিয়ে আমার চাচাতো ভাই সুহেল আহমদকে থানায় ধরিয়ে নিয়ে যান। পরে একটি মিথ্যা মামলায় আমার আরেক চাচা আজির উদ্দিনকেও আসামি করে আদালতে প্রেরণ করলে ঐ দিনই তাঁদেরকে জামিনে মুক্ত করা হয়।’
তিনি আরও বলেন- ‘এঘটনার ৫দিন পর গত ১৪ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমার চাচা জহির উদ্দিনের অনুপস্থিতিতে কেরামত আলী, আবুল কালাম আজাদ, নাদাই আহমদকে সাথে নিয়ে পুনরায় আমার চাচার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আমার চাচী ও চাচাতো ভাইয়ের বউ আহত হন। তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে একদিন আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী ও আমার চাচী জহির উদ্দিনের স্ত্রী চিকিৎসাধীন ছিলেন। একদিন পর আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলেও আমার চাচীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।’
লিখিত বক্তব্যে তানভীর আরও বলেন- ‘কেরামত আলী নিজেকে সৌদি কৃষকলীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। তিনি একজন প্রভাবশালী হওয়ায় বিনা কারণে আমাদের আত্মীয় স্বজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। এমনকি বিভিন্ন সময়ে তিনি ও তার ভাই তাহির আলী তাদের অনুসারীদের সাথে নিয়ে আমাদের প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতেছি যে তারা আমাদের আত্মীয়-স্বজনকে দেশের বিভিন্ন থানায় চুরি ডাকাতিসহ হত্যা মামলায় আসামি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।’
তানভীর আহমদ বলেন, ‘তাহির আলী ও কেরামত আলীদের কারণে আমাদের আত্মীয়-স্বজন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জহির উদ্দিন, আজির উদ্দিন (আপ্তাব আলী), কবির উদ্দিন, আব্দুল আলী, রিপন আহমদ, কামাল আহমদ।