আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ছিলেন জনগণের নেতা, জনতার কামরান। সিলেটবাসী যেকোন সমস্যায়, যেকোন প্রয়োজনে তাকে কাছে পেয়েছেন। তাই তিনি জনতার কামরান হতে পেরেছিলেন।
তিনি বলেন, কামরানের অকাল প্রয়াণে সিলেটবাসী তাদের একজন প্রকৃত ভালোবাসার মানুষকে হারিয়েছেন, আওয়ামী লীগ হারিয়েছে একজন সৎ ও যোগ্য নেতাকে। মৃত্যুরপূর্ব পর্যন্ত তিনি সিলেটের উন্নয়নে নিবেদিত ছিলেন। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। পাশাপাশা তাঁর গুণাবলীর চর্চা করে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বাদ যোহর হযরত শাহজালাল (রহঃ) দরগাহ মসজিদে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় নানক বলেন, কামরানের সাথে আমার অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। তিনি সবাইকে সম্মান করতে জানতেন। তার স্নেহ ভালোবাসায় অনেকেই ধন্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে খুবই স্নেহ করতাম। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
সিলেট মহামগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন এসময়ে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরানপুত্র ডা: আরমান আহমদ শিপলু, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শমশের জামাল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মুবাশ্বির আলী, মহানগরের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, উপদপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, উপদেষ্টা এনাম উদ্দিন, আব্দুল মালিক সুজন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গিরদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন রায়নগর বায়তুল বরাত জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবিদ হাসান রাহমানি।