বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একই সঙ্গে আগামী ২১ জুন হতে যাওয়া সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনের ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর চাঁদমারীতে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন দলটির আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এসময় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফজলুল করিমও উপস্থিত ছিলেন।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, নির্বাচনের বুথগুলো নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা বিভিন্ন পর্যায়ে অনিয়ম করেছে। মারাত্মক অনিয়মের প্রতিবাদে আমরা বরিশালের নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। সঙ্গে খুলনার ফলাফলও আমরা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা করছি। আর সিলেট ও রাজশাহীতে নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী রয়েছে, সেই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছি। যেহেতু সুন্দর পরিবেশ নেই, তাই তারা নির্বাচন করবে না।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেছেন, রিটার্নিং অফিসারের কাছে গিয়ে অনেক সেন্টারের অভিযোগ দিলাম। সাজানো নির্বাচন। আমরা দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বরিশাল ও খুলনার ভোট প্রত্যাখ্যান করেছি। এ ছাড়া রাজশাহী ও সিলেটে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি।
সোমবার সকাল ৮টায় বরিশাল ও খুলনা সিটির ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্যে বেসরকারি ফলাফলে ৫৩ হাজার ৪০৭ ভোট বেশি পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা প্রতীক)। বেসরকারি ফলাফলে নৌকার আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ভোট পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৭৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখার সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট।
এদিকে খুলনায় এখন পর্যন্ত ১০৩ কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৮৮০ ভোট।
এই দুই সিটির ভোটকে পাতানো এবং পক্ষপাতমূলক অভিযোগ করে আসন্ন সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দেয় ইসলামী আন্দোলন।
সিলেটে নির্বাচন বর্জনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করে মেয়র প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান জানান, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা সিলেটের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে। এ ব্যাপারে আজ রাত ৮টায় নিজেদের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।