কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ৪

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি মঈন উদ্দিন মিলনের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও হামলার ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (১১ জুন) মাননীয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলীগ্রহণকারী ৭ সিলেটের কক্ষে হামলাকারী আসামীরা জামিন চাইলে বিজ্ঞ বিচারক আলমগীর হোসেন উপরোক্ত চার আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এজাহারভুক্ত আটককৃত আসামিরা হলো উপজেলার উত্তর কলাবাড়ী গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর ছেলে ফয়জুল (৫০), সইবুর মিয়ার ছেলে জুনায়েদ (৩২), মৃত সোনাফর আলীর ছেলে সইবুর মিয়া (৫৫), তারা মিয়ার ছেলে সামী (২০)। তবে মামলার প্রধান আসামি তজই এখনও পলাতক রয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল বালু ও পাথর খেকোদের তান্ডবে জাতীয় সম্পদ ধলাই সেতু হুমকির মুখে শিরোনামে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় ও অনলাইনে সংবাদ প্রচার হলে চক্রটি সাংবাদিক মঈনউদ্দিনকে গুম ও হত্যার চেষ্টা করে। গত ৭ এপ্রিল পার্শ্ববর্তী তজই, তারা, ফয়জল, জৈন উদ্দিনের লোকেরা উপজেলার কলাবাড়ী গ্রামে মঈনউদ্দিন ও তার পরিবারের মহিলা, পুরুষ সদস্যদের এলোপাতাড়ি রামদা, সুলফি, রড ও কাঠের লাটি দিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা চালায়। এতে অন্তত ১২/১৩ জন সদস্য মারাত্মক জখম হন।

হতাহতের ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় উভয়পক্ষ এজাহার দিলে সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়ার সমন্বয়ে বিচার সালিশ গঠন করেন। সর্বশেষ গত ২৯ মে তৃতীয় ধাপে আপোষ মীমাংসা হওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত থাকলেও প্রভাবশালী চক্র গোপনে আদালতে মামলা দায়ের করে।

সাংবাদিক পরিবারের সকল সদস্য গ্রেপ্তার আতঙ্কে পলাতক থেকে পরিবারের পক্ষ থেকে হামলা ও লুটপাটের প্রতিকার চেয়ে গত ৮ জুন আদালতে মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি বন্ধে আগাম জামিনের আবেদন মহামান্য হাইকোর্টে অদ্য ৬ জুন যৌথ ব্রাঞ্চের বিচারপতি মো. কামরুল হোসাইন মোল্লা, বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামান সমন্বয় ব্রাঞ্চ জামিনের আবেদনটি আমলে নিয়ে আগাম জামিনে মঞ্জুরক্রমে আদেশ প্রদান করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোর্ট ইন্সপেক্টর মনোয়ার পারভেজ জানান, আসামিরা মাননীয় আদালতে জামিন চাইতে আসলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলা হাজতে প্রেরণ করতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।