সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণাধীন ক্যান্সার ভবনে নির্মাণ শ্রমিক পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন নিহতের পিতা আব্দুল জলি। ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। পুলিশ জানায়, নিহত মোঃ নয়ন মিয়া (২১) বিগত ৮/১০ দিন পূর্বে কাজের সন্ধানে সিলেট শহরে আসে। গত ০৮ তারিখ বিকাল বেলা এম জামাল এন্ড কোম্পানী লিঃ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নির্মানাধীন ক্যান্সার ভবনের শ্রমিক হিসাবে যোগদান করে নয়ন।
সেদিন রাতেই নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিক সর্দার মোঃ আমিনুল ইসলাম (৩০) এর কক্ষ থেকে এক লাখ তিরিশ হাজার টাকা খোয়া যায়। নয় তারিখ সকাল ৬টার দিকে কয়েকজন মোঃ নয়ন মিয়া (২১) ও আহত মোঃ আইয়ুব (২৫)-কে নির্মানাধীন ক্যান্সার ভবনের নিচ তলায় শ্রমিকদের থাকার কক্ষে নিয়া যায়। তখন শ্রমিক সর্দার মোঃ আমিনুল ইসলাম (৩০) এর নেতৃত্বে কয়েকজন নয়ন এবং আইয়ুবকে বেদম প্রজার করে। এতে নয়নের অবস্থা গুরুতর দেখে সকাল ৯ টার দিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কোতোয়ালী থানার একটি দল অভিযান পরিচালনা করে মোঃ রুবেল ইসলাম (৩২), মোঃ আমিনুল ইসলাম (৩০), মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (৩৭), আয়নাল হক (২৫) ও মোঃ শাবান আলী (২৬)-কে গ্রেফতার করে।
পরবর্তীতে শনিবার (১০ জুন) মৃত মোঃ নয়ন মিয়ার পিতা মোঃ আব্দুল জলিল বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন|