বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ভারতের আসাম-মেঘালয়সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে প্রতি বছরের মত ওই রাজ্যগুলোর মূখ্য মন্ত্রীদের জন্য এ বছরও রাজশাহীর ৩ হাজার কেজি আম উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন।
শনিবার (১০ জুন) দুপুরে সিলেটের গোয়াইানঘাট উপজেলার তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অরুনাচল ও মনিপুরসহ উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের জন্য উপহার হিসেবে আমগুলো পাঠানো হয়েছে।
তামাবিল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো আমগুলো রাজশাহী থেকে সরাসরি পিকআপ ভ্যানে করে শনিবার দুপুরের দিকে তামাবিল স্থলবন্দরে আনা হয়। কার্টনে করে আসা ৩ হাজার কেজি আমের মধ্যে ৩০০ কার্টন ল্যাংড়া ও ৩০০ কার্টন হিমসাগর আম ছিল।
পরে গৌহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অমল জ্যোতি বড়ুয়া বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশন গৌহাটির পক্ষ থেকে আমগুলো গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন অফিস গৌহাটির মাধ্যমে আমগুলো আসামের মুখ্যমন্ত্রী মি. হিমান্ত বিশ্ব শর্মা, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মি. কনরাড সাংমা, মিজোরামের মূখ্যমন্ত্রী মি. জোরামথাঙ্গা, নাগাল্যান্ডের মূখ্যমন্ত্রী মি. নেইফিউ রিও, অরুনাচলের মূখ্যমন্ত্রী মি. পেমা খান্ডু ও মনিপুরের মূখ্যমন্ত্রী মি. এন. বিরেন সিংয়ের কাছে আমগুলো পৌঁছে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এ সময় গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের সহকারী কনস্যুলার বিশ্বজিত চক্রবর্তী, জনসংযোগ কর্মকর্তা ফেরদৌস সরকার, তামাবিল স্থল বন্দরের রাজস্ব কর্মকতা মো. শাখাওয়াত হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, তামাবিল চুনা পাথর, পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি এম. লিয়াকত আলী, সহ-সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন, মেঘালয় চেম্বার অব কমার্সের সেক্রেটারী জেনারেল ডলি খংলা, তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মো. রুনু মিয়া ও সানাউল হক রমজানসহ বিজিবি সদস্য ও স্থানীয় সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ ডাউকি কাস্টমস কর্মকর্তা, ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।