সুনামগঞ্জে কিচেন মার্কেট থেকে মৎস্য আড়ৎ সরানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে সুনামগঞ্জ পৌর কিচেন মার্কেটের আড়ৎদারসহ সকল মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, অসৎ উপায় অবলম্বন করে কিছু নামধারি গডফাদারদের সুবিধা দিতে সুনামগঞ্জের প্রাচীন এই মৎস্য আড়ৎকে সরানো হয়েছে। এতে করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। এখন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা না থাকার কারণে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আর মাছ নিয়ে আসেন না।
সকল মাছ চলে যায় লামা কাজী, সিলেট ও ঢাকার আড়তে। এতে করে গত এক সপ্তাহ যাবৎ সুনামগঞ্জ কিচেন মার্কেটের ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। মানবেতর জীবনযাপন করছেন এই ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, ওয়েজখালি মৎস্য অতরণ কেন্দ্র থেকে মাছ এনে বিক্রি করতে গেলে দাম হয়ে যায় অধিক। তাই ক্রেতারাও মাছ অনেক দাম দর করে মাছ না নিয়েই ফেরত যাচ্ছেন। আমাদের একটাই দাবি আগের জায়গায় মৎস্য আড়ৎ অবিলম্বে ফিরিয়ে আনা না হলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজসেবক জমিরুল হক পৌরব, মৎস্য ব্যবসায়ী রাসেল, জেনুল মিয়া প্রমুখ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামসুল করিম বলেন, আমরা কোনও মৎস্য ব্যবসায়ীকে জোর করিনি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য। অনেকেই স্বেচ্ছায় গিয়েছে। যেহেতু হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা রয়েছে এখন তারা পুরাতন স্হানে ব্যবসা করতে পারবে। আমরা কাউকে কোনও বাধা দেই নি। এখন এটা মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের অধীনে রয়েছে, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তারাই এটা ভাল বলতে পারবেন।
সুনামগঞ্জ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আবু সাইদ ফিরোজের মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘মাছ ব্যবসায়ী যারা গিয়েছে তারা স্বেচ্ছায় গিয়েছে। আমরা কাউকে জোর করে নিয়ে আসি নাই।’
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশের পর আমরা উদ্বোধন সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। এখন কেউ যদি মৎস্য অতরণ কেন্দ্রে মাছ বিক্রি করে তা হলে আমরা তো তাকে বাধা দিতে পারি না।’