নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে সকল প্রকার নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে সকল নেতা, কর্মী ও সমর্থক সহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
এক বিবৃতিতে তিনি এ আহবান জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচনী আচরণবিধিন কোনোভাবেই লঙ্ঘন করা যাবে না।
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে তার সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও স্বজনদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। সিলেট সিটি করপোরেশনের সার্বিক উন্নয়নেও আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত আন্তরিক সেটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : মেয়র আরিফের সাথে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সৌজন্য সাক্ষাত
তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী হিসাবে স্বাগত জানিয়েছেন, অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আপনাদের ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। আপনাদের ভালোবাসার ঋণ কোনোদিনই শোধ হওয়ার নয়। তবে এজন্য আমি আপনাদের কাছে চিরদিন কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবো।’
তিনি অত্যন্ত দুঃখের প্রকাশ করে বলেন, ‘ইদানিং কিছুকিছু ক্ষেত্রে কিছুকিছু নেতাকর্মীর অতিউৎসাহ কেবল তাকেই নয়, আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্নের মুখোমুখি করে দিচ্ছে। বিশেষ করে কারও কারও প্রচারণার ধরণ নিয়ে কেউ কেউ কষ্ট পাচ্ছেন। কারণ এ ধরনের প্রচারণা অত্যন্ত দুঃখজনক। সবাইকে মনে রাখতে হবে যে, আওয়ামী লীগ বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনায়। তাই আমাদের আচরণ যেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের মনে কষ্ট না দেয়-সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাইকে কাজ করতে হবে।’
কেউ যেন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা না চালান সে ব্যাপারে সবাইকে তিনি সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি, আমার জন্য আপনাদের ভালোবসার কোনো কমতি নেই। তবে আপনাদের নির্বাচনী কর্মতৎপরতা যেন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে না যায়-সেদিকে সবাইকে খেয়াল রেখে কাজ করতে হবে। ব্যানার-পোস্টার সাঁটানো থেকে শুরু করে লিফলেট বিতরণ, জনসভা, গণসংযোগ অর্থাৎ যাবতীয় কাজ যেনো নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে করা হয়-সবার প্রতি আমার এই অনুরোধ।’