শাল্লায় কথিত সেই এনজিও’র বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন

শাল্লায় এনজিও সংস্থা নামে পরিচিত স্মার্ট ওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত প্রায় ৩ শতাধিক ভুক্তভোগী।

রবিবার (২৮ মে) ১২টায় শাল্লা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধনটি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘স্মার্ট ওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের কোথায় অফিস ছিল তা আমরা ভাল করে জানি না! আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই সংস্থার শাল্লা ইনচার্জ ঝলক চন্দ্র দাশ নানাধরণের সুযোগসুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।’

ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, ঘর ও টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ঝলক চন্দ্র দাশ। আমরা এই প্রতারণার সঠিক বিচার ও আমাদের টাকাগুলো যাতে ফেরত দেওয়া হয় সেজন্য আজকের এই মানববন্ধনে আমরা দাঁড়িয়েছি।’

তারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রতারণা সহ্য করা হবে না। এই ভূয়া কোম্পানি স্মার্ট ওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড আমাদের এলাকার সহজ-সরল মা-বোনদের হাঁস-মুরগি, চিকিৎসাসেবাসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দেওয়ার কথা বলে উপজেলার অনেক গ্রামের বিশেষ করে মহিলাদের সাথে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আমরা এই কোম্পানির কঠিন থেকে কঠিনতম বিচার চাই।’

স্মার্ট ওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের দেওয়া ‘Money Receipt’ ও হেল্থ কার্ড তাদের প্রতারণার প্রধান উৎস উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, ওই ভূয়া সংস্থাটি গ্রামের কিছু কিছু পরিবারকে তাদের প্রতারণার ছোবল নিঃস্ব করে দিয়েছে।’

এসময় স্মার্ট ওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের প্রতারক মহা ব্যবস্থাপক মতিয়ার রহমান ও শাল্লা শাখা ইনচার্জ ঝলক চন্দ্র দাসকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

ভুক্তভোগী সীতা রানী দাসের সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব অজয় তালুকদারের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাড. দিপু রঞ্জন দাস।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল বারী লেলিন, যুবলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগম, সাবেক সদস্য মোছা. ফাতেমা আক্তার, সম্ভাব্য মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী আলপিনা আক্তার, ভুক্তভোগী খেলন চন্দ্র দাস, চন্দ্রনা রানী দাস, সেবিকা রানী দাস, প্রনতী রানী দাস, হেপী রানী দাস, বিথী রানী দাস, শিল্পী রানী দাস, সাধনা রানী দাস, স্বপ্না রানী দাস প্রমূখ।