গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মানুষ ঐক্যবদ্ধ, জনতার বিজয় সুনিশ্চিত : কাইয়ুম চৌধুরী

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বার বার তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, উন্নয়ন প্রকল্পের নামে লুটপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার এবং ভয়াবহ দু:শাসনের ফলের দেশের মানুষ আজ বিপর্যস্ত। দেশে নির্বাচনে নামে জনগনের সাথে তামাশা চলছে। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারেনা, ভোটাধিকার থেকে জনগন বঞ্চিত রয়েছে। সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশর মানুষ আর স্বৈরাচার সরকারকে চায় না। এজন্য বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলসমূহের গণতান্ত্রিক আন্দোলন কর্মসূচিতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। সরকার এই জনস্রোত দেখে ভীতসন্তুহয়ে পড়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ, জনতার বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।

শনিবার (২৭ মে) বিকেলে দক্ষিণ সুরমার দাউদপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলি উদ্বিগ্ন। এত কিছুর পরও অবৈধ সরকার জনগনের মাথার উপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে। দেশের সর্বস্তরের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরবে ইনশাআল্লাহ।

দাউদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল আলম বাহারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ লুটপাট করে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার কারনে দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংস হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ দুবেলা পেট ভরে খেতে পারছে না। একদিকে মানুষ বিদ্যুত পাচ্ছনা, অন্যদিকে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। দেশের রিজার্ভ কমে গেছে। সর্বোপরি আওয়ামীলীগ দেশকে দেউলিয়া করার দারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি থেকে দেশকে বাঁচতে হলে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবী করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্টা করা ছাড়া আর কোন পথ নেই।

কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল, কোহিনূর আহমেদ, বিএনপি নেতা মাহবুব আলম, হেলাল উদ্দিন আহমদ, শামসুর রহমান শামীম, হেলাল আহমেদ, আফতাব উদ্দিন, সুহেল ইবনে রাজা, আব্দুল মজিদ, বদরুল ইসলাম বদই, তাজুল ইসলাম মেম্বার, ওলিউর রহমান, আরিফ আহমদ চৌধুরী, শফি আহমদ খান, জানু মিয়া, চান্দ আলি, রিফল আহমেদ, আল আমিন, আবেদ আহমদ, মুন্না আহমদ, সাইদুল হাসান প্রমুখ।