সিলেটের ওসমানীনগরে উড়ে আসা বিশাল বেলুন বিস্ফোরণে অগ্নীদগ্ধ এসএসসি পরীক্ষার্থী জয়শ্রী দেব জুই ও তার ভাই জয় দ্বীপ দেব জনির পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে দশ লাখ টাকা উপহার দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপহারের দশ লাখ টাকার চেক অগ্নিদগ্ধদের পরিবারের হাতে তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান, ওসমানীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ ভিপি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা, ওসমানীনগর থানার ওসি মাছুদুল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সহ সভাপতি আবদাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনা মিয়া, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল হামিদ, ইউপি চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মুছা ভিপি ও ইউপি চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলক প্রমুখ।
এর আগে সামন্ত লাল সেন অগ্নিদগ্ধ ভাই-বোনকে দেখতে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক দল নিয়ে তাদের বাড়িতে যান। সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করে তাদের খোঁজ-খবর নেন।
অগ্নিদগ্ধ দুজনের পিতা জ্যোতির্ময় দেব ঝন্টু প্রধানমন্ত্রী, চিকিৎসক, সাংবাদিক এবং পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, সকলের সহযোগিতায় আমার দুই সন্তান যে চিকিৎসা সেবা পেয়েছে তা কোন দিন ভুলার নয়। এখন আবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দশ লাখ টাকা পেয়েছি। আমার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম সপ্তায় ওসমানীনগরের তাজপুর ইউনিয়নের আইলাকান্দি গ্রামের জ্যোতির্ময় দেব ঝন্টুর বাড়ির গাছে উড়ে আসা বিশাল আকারের একটি বেলুন আটকা পড়ে। ঝন্টু দেবের মেয়ে এসএসসি জয়শ্রী দেব জুই ও তার বড় ভাই জয় দ্বীপ দেব জনি বেলুনটিকে নামিয়ে এনে খেলা করে। ওই দিন সন্ধ্যায় বেলুনটিকে বসতঘরে ঢুকানোর চেষ্টাকালে বেলুনটি বিস্ফোরিত হয়। এতে ভাই-বোনের হাত-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় সাংবাদিক, সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেটে পুলিশ সুপার ও ওসমানীনগর থানার ওসির সহযোগিতায় তাদেরকে
চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। প্রায় দেড় মাস চিকিৎসা নিয়ে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে।