দ্রুত বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র শঙ্কায় এরই মধ্যে কক্সবাজারে জারি করা হয়েছে মহা বিপদসংকেত। ইতোমধ্যে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর। আর সাগরের এই উদ্দামতা দেখতে সতর্ক সংকেত উপেক্ষা করে সৈকতে ভিড় করছেন পর্যটকরা।
সাগর সৈকত থেকে পর্যটক ও স্থানীয়দের সরিয়ে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন পুলিশ ও সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা। এ অবস্থায় তাদের সরিয়ে দিতে সৈকতে নেমেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
শনিবার রাতে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উত্তাল সাগর দেখতে সৈকতে ভিড় করা উৎসুক পর্যটকদের সরাতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল থেকে সীমান্তবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম বার্তা পৌঁছে দিতে মাঠে নেমেছে বিজিবি। ঘরে ঘরে যাচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা। সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে টেকনাফে আমার ব্যাটালিয়নের দায়িত্বাধীন এলাকায় ৫শ’ সৈনিক মাঠে তৎপর।
‘বিজিবি সদস্যরা প্রতিটি বাড়িতে যাচ্ছেন। এলাকাবাসীদের ঘূর্ণিঝড়ের আশংকার কথা জানাচ্ছেন। তাদের সাইক্লোন শেল্টার বা নিকটবর্তী আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বৈরী আবহাওয়াকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে দুষ্কৃতকারীরা যাতে সীমান্তে অপরাধ কর্মকাণ্ড বাড়াতে না পারে সে জন্য নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।’