সিলেটসহ পাঁচ সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থী ও সমর্থকরা যেন প্রচার-প্রচারণা না চালায় সে বিষয়টি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (২ মে) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনায় সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি প্রার্থীদের অবহিত করার জন্যও বলা হয়েছে।
ইসির দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৫ অনুসারে প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কোনো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবে না। নির্বাচনপূর্ব সময় অর্থাৎ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত প্রত্যেক প্রার্থীকে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ এর বিধান প্রতিপালন করতে হবে।
একই দিন অন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে আসন্ন চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে মাঠ প্রশাসনকে (পুলিশ ও প্রশাসন) নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুসারে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ যথাক্রমে ১৬ ও ২৩ মে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো কোনো প্রার্থীর মিছিল, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বা শোডাউন করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ এর ১১ ও ১৩ বিধিতে নিম্নরূপ বিধান রয়েছে: (১) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো ধরনের মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না বা প্রার্থী পাঁচজনের অধিক সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন না। (২) নির্বাচনের আগে কোনো ধরনের মিছিল বা কোনোরূপ শোডাউন করা যাবে না। এছাড়া কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহনসহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল বা অন্য কোনো ধরনের মিছিল বের করতে পারবে না কিংবা কোনোরূপ শোডাউন করা যাবে না।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বশর্ত নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালন। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো নির্বাচনী এলাকার আচরণবিধির যথাযথ প্রয়োগ ও প্রতিপালন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপার যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ এপ্রিল গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বিধিমালা ভেঙে শোডাউন ও মিছিল করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। এ কারণে তাকে শোকজ নোটিস দেয় ইসি। চিঠিতে আগামী ৭ মে নির্বাচন কমিশনে সশরীরে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।