ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচরে দুই দিনব্যাপী বরাক-সুরমা নাট্যোৎসবের প্রথম দিনে মঞ্চস্থ হয়েছে কথাকলি সিলেটের নাটক চে’র সাইকেল।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শিলচরের বঙ্গভবন মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় নাটকটি। নাটকটি লিখেছেন প্রখ্যাত নাট্যকার ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন নাট্য নির্দেশক ও মঞ্চ পরিকল্পক ফয়েজ জহির।
চে’র সাইকেল নাটকটিতে অভিনয় করেছেন নীলাঞ্জন দাশ টুকু, লিপি রানী মোদক, প্রশান্ত দে প্রলয়, হাবিবা ফেরদৌস বিন্তু, আমিরুল ইসলাম সুমন, সুজন আচার্য্য শ্রাবণ, আব্দুল মালিক, অরিন্দম দত্ত চন্দন এবং আবহ সংগীতে ছিলেন আমিরুল ইসলাম বাবু, দিব্য জ্যোতি সী ও অভ্রজ্যোতি দত্ত।
প্রযোজনা শেষে কথাকলি সিলেটের নাট্যকর্মীদের হাতে স্মারক তুলে দেন উৎসবের আয়োজকরা।
এছাড়াও এদিন উৎসবের অন্যতম আয়োজক রেস থিয়েটার পরিবেশন করে তাদের নতুন নাটক এবিতিনের প্রত্যাবর্তন।
এরআগে এই আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে ছিলেন গুয়াহাটির বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ছিলেন সিলেটের সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রসাদ গোয়ালাসহ স্থানীয় বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্বরা।
উদ্বোধনী পর্বে এই উৎসব আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করায় গুয়াহাটির বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিনকে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট ও কথাকলি সিলেটের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
ভারতের বরাক নদী অববাহিকা, আসামের শিলচর ও সুরমা নদী অববাহিকা সিলেট এবং ঢাকার নাট্যদলের অংশগ্রহণে এই উৎসবটি আয়োজন করেছে শিলচরের আজকের প্রজন্ম থিয়েটার ও রেস থিয়েটার পয়লাপুল। এছাড়া তাদের সাথে রয়েছে হাইলাকান্দির বিবর্তন থিয়েটার। নাট্যোৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন, গুয়াহাটি এবং পয়লাপুলের গণেশ দে মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন (রবিবার) একই মঞ্চে মঞ্চস্থ হবে ঢাকার প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদলের নাটক ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’। আর শিলচর কালচারাল ইউনিট মঞ্চস্থ করবে শেখর দেবরায়ের রচনা, নির্দেশনা এবং একক অভিনয়ের নাটক ‘মনসা কথা’।