হবিগঞ্জের মাধবপুরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। মাধবপুর পৌর শহরের বিপণিবিতানগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।
আশপাশের ছোট বাজারগুলোতেও ঈদ উপলক্ষ্যে বেচাকেনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কিছু আধুনিক মানের শপিং কমপ্লেক্স ও মানসম্পন্ন কাপড়ের দোকান থাকায় নিকটবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর, বিজয়নগর, চুনারুঘাট ,শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় লোকজন ঈদের কেনাকাটা করতে ছুটে আসছেন মাধবপুরে।
প্রিয়জনকে ঈদের উপহার দিতেও নিজের পছন্দমতো কেনাকাটা করতে নারী, পুরুষ, শিশুরা অভিভাবকদের নিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় করছেন। শেষ মুহূর্তে কসমেটিকস্ ও জুতার দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।
সৈয়দ জিয়া নামে একজন ক্রেতা জানান, তিনি স্ত্রী ও মেয়ের জন্য কাপড় কিনেছেন। কাপড়ের মান উন্নত হলেও এ বছর দাম একটু বেশি।
একরামুল আলম লেবু নামে একজন ক্রেতা জানান, শিশুদের জন্য কাপড় কিনেছেন। এ বছর ভালো কাপড় বাজারে এসেছে। কাপড়ের দাম খুব বেশি না হলেও একটু বেশি।
বশির আহামেদ সুমন নামে এক যুবক জানান, কাপড়ের মান অনেক ভালো। গত বছর বা তার আগের বছরের তুলনায় এ বছর দামটা একটু বেশি। বিজয়নগর, শায়েস্তাগঞ্জ ও নাসিরনগর এলাকার লোকজন এখানে কেনাকাটা করতে আসেন। কারণ মাধবপুরে বেশ কিছু আধুনিক ও উন্নতমানের শপিং কমপ্লেক্সে রয়েছে। সেই সাথে ভৌগোলিক কারণে নাসিরনগর ও বিজয়নগর উপজেলার একটি বড় অংশের মাধবপুরের সঙ্গে যোগাযোগ ভালো হওয়ায় ওই এলাকার লোকজন এখানে কেনাকাটা করেন। তাই প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদ বাজার জমে উঠেছে।
শাফিন নামে একজন ক্রেতা জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে তিনি বিগ বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছেন। তিনি এ বছর একটি পাঞ্জাবি ক্রয় করেছেন। সাধ্যের মধ্যে ভালো মানের কাপড় যাওয়া যাচ্ছে।
ব্যবসায়ী এমরান খান জানান, মাধবপুরের বাজারের ব্যবসায়ীরা দির্ঘদিন যাবত সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছেন। তাই বিভিন্ন উপজেলার লোকজন মাধবপুরে কেনাকাটা করতে আসেন। মাধবপুরে সুলভ মূল্যে কাপড় পাওয়া যায়।
সাইফুল ইসলাম চৌধুরী নামে একজন ব্যবসায়ী জানান, এ বছর বাচ্চাদের কাপড় বেশি বিক্রি করেছেন। বেশ ভালোই বেচাকেনা চলছে। ঈদের আরও কয়েকদিন বাকি রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে বিক্রি আরও বাড়বে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, মাধবপুরে বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। কোনো ধরনের অপরাধ যেন সংগঠিত না হয় সেজন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। হাট-বাজারগুলোতে পুলিশিং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও অব্যাহত আছে।