সুনামগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরে সবচেয়ে বেশি এক ফসলি বোরো ধান উৎপাদন হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ফসল জাতীয় খাদ্য ভাণ্ডারে যুক্ত হয়। জেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৩৯৫ হেক্টর। তবে ২ লাখ ২২ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। যে পরিমাণ ধান উৎপন্ন হয়, জনপ্রতি ৪৫০ গ্রাম দৈনিক হিসেবে যা সমগ্র দেশের ১৭ দিনের খাবারের যোগান হয় বলে জানায় সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, হাওরে কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। জমিতে সার কীটনাশক দেওয়া শেষ। কোথাও ব্লাস্টার রোগ দেখা দিলে শুধু মাত্র সেই জমিগুলোতে কীটনাশক দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা ধান কাটা মাড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৩৯৫ হেক্টর। তবে ২ লাখ ২২ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। সব ঠিক থাকলে এ বছর ১৩ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন ধান পাওয়া যাবে। গত বছর বন্যার কারণে ৮ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড হাওড়ের ফসল আগাম বন্যার হাত থেকে রক্ষার জন্য ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৪৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরও জানায়, এ পর্যন্ত ২০০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। এ বছর সাড়ে ১৩ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, জেলার উৎপাদিত ধান সমগ্র দেশের ১৭ দিনের খাবারের জোগান হয়। এর মধ্যে বোরো ধান ১৩ দিন, আমন ও আউশ ধান মিলে ৪ দিন। প্রতি কেজি বোরো ধানের বাজার মূল্য ২৮ টাকা হলে, এবার ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ধান উৎপাদন হবে।