স্পট কিক থেকে ক্লো কেলির নেওয়া শটটি জালে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই কেঁপে ওঠে পুরো ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম। সেই কেলি, যার গোলে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড।
১৯৬৬ পুরুষ বিশ্বকাপের পর মেয়েদের হাত ধরে বড় কোনো শিরোপা জিতেছিল তারা। মেয়েরা এবার ফিনালিসিমাতেও হতাশ করলেন না। টাইব্রেকারে ব্রাজিলকে হারিয়ে উল্লাসে মাতে তারা।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইংল্যান্ডের সব খেলোয়াড় ছুটে যান গোলরক্ষক মেরি ইয়ারপসের কাছে। অথচ তার ভুলের কারণে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। তবে সেখানেই দুটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে নিজের প্রায়শ্চিত্ত করেন তিনি। নির্ধারিত ১২০ মিনিট ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। এনিয়ে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকল তারা।
মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটি দেখতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন ৮৩ হাজার ১৩২ জন দর্শক। জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে কলম্বিয়ার বিপক্ষে জিতে দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে ব্রাজিল।
ছেলেদের ফিনালিসিমার শিরোপা দক্ষিণ আমেরিকায় গেলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে শিরোপাটা ইউরোপেই রাখে ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকে তারা। ২৩ তম মিনিটে লুসি ব্রোঞ্জের কাটব্যাক থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন এলা টুন। সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠা ব্রাজিল অবশেষে সুযোগ পায় দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে। বাঁ প্রান্ত থেকে গেসের শট ঠিকমতো তালুবন্দী করতে পারেননি ইয়ারপস। সুযোগ সন্ধানী আন্দ্রেসা সেই ভুলের সুযোগ নিতে কোনো দেরি করেননি। তবে তামিরেস কাসিয়া ও রাফায়েলা সুসার পেনাল্টি ঠেকিয়ে আবারও ইংলিশদের উল্লাসে মাতান ইয়ারপস।
এদিকে আগামী জুলাই-আগস্টে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে গড়াবে মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপ।