নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা মো. মাহামুদ হাসানকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর পলাতক থাকা মাহামুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল হক বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মাহামুদ হাসান হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ জঙ্গি নেতা এবং দাওয়াতি বিভাগের দায়িত্বশীল সদস্য। তার নেতৃত্বে ঢাকার বিভিন্ন মসজিদের সামনে হিযবুত তাহরীরের সদস্যদের নিয়ে ঝটিকা মিছিল হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করে হিযবুত তাহরীরের লিফলেট এবং পোস্টার বিতরণের মাধ্যমে সরকার এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম করে আসছিল। এর আগে তাকে একবার গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে জামিনে বের হয়ে আবার সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে বলে জানান তিনি।
মাহামুদ হাসানের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও পল্টন থানায় মোট ৩টি মামলা রয়েছে উল্লেখ করে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মোহাম্মদপুর থানার মামলায় তার দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। কিন্তু রায় ঘোষণার সময় তিনি পলাতক ছিলেন। গোয়েন্দা নজরদারীর ধারাবাহিকতায় শেরেবাংলা নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফজলুল হক আরও বলেন, গ্রেপ্তার মাহামুদ স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৯ সালে এসএসসি এবং ২০১১ সালে এইচএসসি ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন। ঢাকার একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষকের মাধ্যমে হিযবুত তাহরীরে সম্পৃক্ত হন। এরপর থেকে তিনি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিবাদী বই প্রচার করে তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদে উৎসাহিত করে আসছিলেন।
তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনটির অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তার মাহমুদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।