জুড়ীতে জলাবদ্ধতা, পানির নিচে ৩০০ একর জমির বোরো ধান

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে গৌরাঙ্গ বিল ও খাই বিলে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বৃষ্টিতে প্রায় তিনশ একর জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের লক্ষ্যে কুইয়াছড়া নদী খননের দাবি জানিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক দুলাল মিয়া, বাবুল মিয়া, আব্দুস ছালাম, ফরিজ আলী, ধলু মিয়া প্রমুখ বলেন, জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের বাছিরপুর, কৃষ্ণনগর, হরিরামপুর, গৌরাঙ্গ ও ধামাই এলাকায় গৌরাঙ্গ বিল ও খাই বিল অবস্থিত। এখানকার বৃষ্টির পানি কুইয়াছড়া নদী দিয়ে নিষ্কাশন হয়ে হাওরের দিকে প্রবাহিত হয়। কুইয়াছড়া নদী দিয়ে গৌরাঙ্গ বিল ছাড়াও ধলছড়ি, রাঙ্গাউটি ছড়া ও আইনজুড়ী ছড়ার পানি প্রবাহিত হয়। কিন্তু কুইয়া ছড়ায় ধলছড়ি সংযোগ স্থল অনেকটা ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি ভাটির দিকে না গিয়ে উজানের দিকে প্রবাহিত হয়। এতে করে গৌরাঙ্গ বিল এলাকায় বিশাল জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যে কারণে সোমবার (৩ এপ্রিল) ভোর রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে বিলের বেশিরভাগ বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আতিকুর রহমান জানান, তার মতো অনেক কৃষক ঋণ করে বিনিয়োগ করে ফসল ফলিয়েছেন। দেরিতে হলেও মৌসুমের প্রথম দিকের বৃষ্টিতে ভালো ধান হয়েছিল। কিন্তু এক রাতের বৃষ্টিতে তাদের সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে। শত শত কৃষকের মাথায় হাত। এখন তাদের ঋণের বোঝা বইতে হবে।

স্মরণরায় নালা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সম্পাদক বশির উদ্দিন বলেন, কুইয়া ছড়া ভরাট হয়ে যাওয়া জলাবদ্ধতার কারণ। কুইয়া ছড়া সেতুর নিকট থেকে ফানাই মুখ পর্যন্ত নদী খনন এবং ধামাই রত্না ছড়া (রাতুয়া ছড়া) থেকে কদারাম ছড়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দিলে এই জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবদীন বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে বিশাল এলাকার ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এখানকার শত শত কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

পশ্চিম জুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আনফর আলী বলেন, এখানকার জলাবদ্ধতা দূর করতে হলে কুইয়া ছড়ায় আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার নদী খনন করতে হবে। এ জন্য প্রায় চার মাস আগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাউবোতে আবেদন পাঠানো হয়েছে।