ভিজিডি কর্মসূচির চাল আত্মসাতে অভিযোগে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মুখলিছ মিয়া (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুরাবই গ্রামের মৃত রফিক উল্লার ছেলে।
সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তাকে আটক করে শায়েস্তাগঞ্জ থানার একদল পুলিশ।
এরআগে গত ২ মার্চ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রুমানা আক্তার বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুখলিছ মিয়া নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন গত ১৫ নভেম্বর ও ২৪ ডিসেম্বরে ভিজিডি কর্মসূচির চাল সরবরাহের আদেশ প্রদান ও বিতরণের তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত তারিখে সেই চাল কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করেননি তিনি। চাল বিতরণ না করার কারণ জানতে চেয়ে মুখলিছ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নির্বাচনী ঝামেলায় আছেন বলে জানান।
এর কিছুদিন পর আবারও যোগাযোগ করা হলে ফের চাল উত্তোলন করেননি বলে জানান তিনি।
এদিকে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ২৪ নভেম্বর ২৬ ডিসেম্বর দু’দফায় ৬ দশমিক ৯৬ মেট্রিকটন চাল উত্তোলন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এতে করে স্পষ্ট হয় মুখলিছ মিয়া চাল বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেছেন।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রুমানা আক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভিজিডি কর্মসূচির চাল বিতরণ না করায় আমি নিজে অনেকেবার তাকে (মুখলিছ মিয়া) হুশিয়ার করেছি করেছি, তদন্ত করেছি। তদন্ত করে ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। তিনি প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। উনার (ইউএনও) কথার ভিত্তিতে আমি ডিডি মহোদয়ের সাথে কথা বলে মামলা করেছি।’
একই বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল হক কামাল জানান, মামলা হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। আজকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আশ্রয়ন প্রকল্পের রড চুরি, মানুষের টাকা আত্মসাৎসহ একাধিক মামলা রয়েছে।