সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আজ মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণার ফলশ্রুতিতে আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গর্ববোধ করতে পারি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সেই স্বাদকে নস্যাৎ করার জন্য এখনও রাজাকার, আল বদর ও ষড়যন্ত্রকারীরা তৎপর। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। কোনোভাবেই বাঙালির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতাকে নষ্ট করতে দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। সুতরাং সর্বশক্তি দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নবপ্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
রোববার (২৬ মার্চ) সকাল ৬টায় সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে মহান শহিদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। পরে দুপুর ১২টায় তালতলাস্থ গুলশান হোটেলের হলরুমে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।
পরিচালনার পাশাপাশি বক্তব্যে অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বেই আমরা মুক্তির স্বাদ পেয়েছি। ত্রিশ লাখ শহিদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতার অর্জনকে ধরে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সিলেটের লালমাটিয়া, আদিত্যপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় রক্ষিত রাজাকারদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে। রাজাকারদের বংশধরদের আওয়ামী লীগে স্থান দেওয়া যাবে না। ভিন্ন দল ও মতের এবং আদর্শের অনুসারীরা দলে ঢুকে দলকে নষ্ট করতে ওত পেতে থাকে। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগে কোনো অপরাধীর স্থান হবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং আগামীর বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ।
এছাড়া বক্তব্য দেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সানাওর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ টি এম হাসান জেবুল, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, উপদেষ্টা আব্দুল মালিক সুজন, ৪ ও ১২ ওয়ার্ডের সভাপতি ফয়েজ খান পিয়ারা ও সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, বিজিত চৌধুরী, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, বিধান কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ হোসেন রবিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী, সদস্য মো. আব্দুল আজিম জুনেল, মুক্তার খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, সুদীপ দেব, সাব্বির খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, রোকসানা পারভীন, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, তৌফিক বক্স লিপন, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত, বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুফতি আব্দুল খাবির, আব্দুর রব হাজারী, সালউদ্দিন বক্স সালাই, রোকন আহমদ, ফখরুল হাসান, সাজোয়ান আহমদ, দিলোয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, ফয়সল আক্তার ছোবহানী ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, এম এ খান শাহীন, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, মো. বদরুল ইসলাম বদরুল, ফকরুল ইসলাম আলকাছ, মইনুল ইসলাম মঈন, শেখ সোহেল আহমদ কবির, সেলিম আহমদ সেমিম ও আনোয়ার হোসেন আনার।
আলোচনা শেষে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন রায়নগর বায়তুল বরাত জামে মসজিদের ইমাম মওলানা আবিদ হাসান রাহমানি। দোয়া মাহফিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের নিহত সকল সদস্যের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনাসহ দেশ ও জাতি এবং বিশ্বের শান্তি কামনা করা হয়।