বাংলাদেশ ও গ্রিসের সমঝোতা চুক্তির ফলে অবশেষে বাংলাদেশিদের রেসিডেন্স কার্ড দেওয়া শুরু করেছে ইউরোপের দেশ গ্রিস। ইতোমধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি ৫ বছর মেয়াদী এই কার্ড পেয়েছেন।
গতকাল গ্রিসের রাজধানী এথেন্স এর পেরিফেরিয়া অফিস থেকে ৩ জন বাংলাদেশি রেসিডেন্স কার্ড গ্রহণ করেন। পরে তাদেরকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায় দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
এর আগে পিরগুশ বিভাগ থেকে একজন ও রোদুস আইল্যান্ড থেকে আরেকজন বাংলাদেশি এ আইনে রেসিডেন্স পারমিট পেয়েছেন।
দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্বারক অনুযায়ী প্রাচীন সভ্যতার দেশ গ্রিসে বিভিন্ন কারণে অনিয়মিতভাবে থাকা ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে ৫ বছরের জন্য বৈধতা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে দেশটির সরকার। এ প্রক্রিয়ায় বৈধ হতে প্রথমেই দূতাবাসে নিবন্ধন করতে হবে। দূতাবাসে নিবন্ধন সম্পন্ন হলে দূতাবাস সেই আবেদনকারীর তথ্য পাঠাবে অভিবাসন মন্ত্রণালয়ে। এরপর অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের অনলাইন প্লাটফর্মে গিয়ে বৈধতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই প্রক্রিয়ায় বৈধ হতে দূতাবাসে নিবন্ধন করেছেন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বাংলাদেশি।
এর মধ্যে অনলাইনে আবেদন করেছেন প্রায় দেড় হাজার। রেডিডেন্স পারমিট গ্রহণকারী এসব বাংলাদেশিরা প্রতি বছরে ৯ মাস গ্রিসে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
সম্প্রতি রেসিডেন্স কার্ড গ্রহণকারীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ, দূতাবাসের মিনিস্টার মোহাম্মদ খালেদ, প্রথম সচিব বিশ্বজিত কুমার পাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসসহ আরো অনেকেই।
এ সময় গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ বলেন, ‘আমাদের দূতাবাসের সুদীর্ঘ দুই বছরের ক‚টনৈতিক তৎপরতার ফলশ্রæতিতে অবশেষে আমরা সেই বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যকার যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেটার প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন হয়েছে। ফলে এখানে আমাদের যে অনিয়মিতভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা ছিলেন তাদের বৈধ হওয়ার একটা সুযোগ এসেছে।
সমঝোতা স্মারকের বিভিন্ন পর্যায় পেরিয়ে এবং আইনের বিভিন্ন জটিলতা সব নিরসন হয়ে অবশেষে চলতি বছরের বিগত ১২ জানুয়ারি থেকে গ্রিক সরকার সেই বহুল প্রতীক্ষিত যে অনলাইন প্লাটফর্ম সেটা চালু করেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে বসবাসরত অনিয়মিত বাংলাদেশিরা অনলাইন প্লাটফর্মে আবেদন করে বৈধতা পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কয়েকজন ৫ বছর মেয়াদী কার্ড পেয়েছেন।’
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন- ‘গ্রিসে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মিতভাবে অবস্থান করায় বাংলাদেশে যেতে পারছেন না, তাদের পরিবারের সাথে দেখা করতে পারছেন না, তারা অস্থায়ী রেসিডেন্ট কার্ড পেয়েই বাংলাদেশে যেতে পারবেন।’