হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গনের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
রোববার (১৯ মার্চ) রাতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সাথে শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হাসপাতালের অভ্যন্তরে কোন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রাখা যাবে না, হাসপাতালের বাইরে ধারাবাহিকভাবে ২টি অ্যাম্বুলেন্স রাখা যাবে, হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের প্রতিনিধি নির্ধারিত জায়গায় অবস্থান করবে, তিনি রোগীদের প্রয়োজনে ধারাবাহিকভাবে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করে দিবেন, এছাড়া হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সকল বৈধ অ্যাম্বুলেন্স চালকদের নাম্বার সম্বলিত ব্যানার টানানো থাকবে, বৈধ রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোন অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারবে না, বাইপাস সড়কে আনসার অ্যাডজুটেন্ট ক্যাম্পের পাশে স্ট্যান্ড করার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটিতে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে, গাড়ি রিকুইজিশনের ক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিক সমিতির সাথে আলোচনা করা হবে, অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হবে।
এর আগে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং ব্যবস্থাসহ ৯ দফা দাবিতে হবিগঞ্জে পরিবহন কর্মবিরতির ডাক দেয় জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
রোববার (১৯ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়। যে কারণে সকাল থেকে জেলায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এমন বাস্তবতায় কোনো যানবাহন না পেয়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। অনেকে বিদেশগামী যাত্রী ও চাকরির ইন্টারভিউর জন্য গন্তব্যে যেতে এসে চরম বিপাকে পড়েন।
হবিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. সজিব আলী বলেন, ‘হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স রাখার জায়গা থাকলেও কর্তৃপক্ষ আমাদের অ্যাম্বুলেন্স রাখতে দিচ্ছে না। তাই আমরা চাই আমাদের একটি নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড দেওয়া হোক। এ ছাড়া আমাদের আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। সেগুলো সমাধানে আমরা প্রশাসনকে ৯ দফা দাবি জানিয়েছি।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হাসপাতাল প্রাঙ্গণে যত্রতত্র অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। আশঙ্কাজনক অনেক রোগী নিয়ে কোনো যানবাহন জরুরি বিভাগে যথাসময়ে আসতে পারে না। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করছে। ফলে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপর থেকে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রোগীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে।