সিলেটের গোয়াইনঘাটে সরকারি হাওর দখল নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এমনকি রণপ্রস্তুতি নিয়েছে দুই গ্রামের লোকজন।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুই গ্রামের লোকজন দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র সহকারে রণপ্রস্তুতি নিয়ে হাওর দখলের চেষ্টা করেন। এসময় একটি ড্রাম ট্রাকে আগুনও দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এতে বড় ধরণের সংঘাত থেকে রক্ষা পান দুই গ্রামের লোকজন।
গোয়াইনঘাট উপজেলার ভোগা হাওরের ফেটুকুড়ি দখল নিয়ে বুধবার সকালে ডৌবাড়ি ইউনিয়নের ঘোষগ্রাম ও পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মধ্যে এই উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সকালে পাঁচপাড়া গ্রামের লোকজন এস্কেভেটর ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে ফেটুকুড়িতে বাঁধ নির্মাণ করে দখলের চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে ঘোষগ্রামের লোকজন দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হাওর এলাকায় অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে উভয় গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়ানোর জন্য রণপ্রস্তুতি নেন। খবর পেয়ে এলাকার গণমান্য লোকজন ও পুলিশ গিয়ে উভয় পক্ষকে সংঘর্ষে জড়ানো থেকে বিরত রাখেন।
তবে এর আগে হাওরের মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত একটি ড্রাম ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
ঘোষগ্রামের লোকজনের অভিযোগ, যুগ যুগ ধরে তারা হাওরটি ভোগ দখল করে আসছেন। সম্প্রতি এক ইউপি চেয়ারম্যান পাঁচপাড়া গ্রামবাসীকে ফেটুকুড়ি দখলের জন্য উস্কানি দেন। চেয়ারম্যানের উস্কানিতে পাঁচপাড়া গ্রামের লোকজন ফেটুকুড়ি দখলের নামে সংঘর্ষে জড়াতে চেয়েছিল।
অন্যদিকে, পাঁচপাড়া গ্রামবাসীদের দাবি তারা ওই জলমহালটি ইজারা এনেছেন।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম জানান, ফেটুকুড়ি দখল নিয়ে ঘোষগ্রাম ও পাঁচপাড়া গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষের প্রস্তুতির খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে একটি ড্রাম ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এছাড়া পুলিশ উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করায় সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছে উভয় গ্রামের লোকজন।