বাংলাদেশ বাল্যবিবাহে বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে। দেশে ১৮ বছরের আগে বিয়ের হার ৫১%। এছাড়া পুষ্টিহীন মায়ের সংখ্যাও বেশ বৃদ্ধি পেযেছে। দেশে ১২% মায়েদের বয়সের তুলনার ওজন কম।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইউনিসেফ।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের থেকে নেওয়া উপাত্ত বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি নারী ও কিশোরী পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তাদের তাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম; তারা লম্বাও কম হচ্ছে। পুষ্টিহীনতার কারণে তাদের অতিজরুরী মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের অভাব ও রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
এ পুষ্টিহীন মা ও কিশোরীর বেশিরভাগই বিশ্বের সবচাইতে গরিব অঞ্চলের বাসিন্দা। দক্ষিণ এশিয়া ও উপ-সাহারা অঞ্চলের ৬৮% নারী ও কিশোরীরা পুষ্টিহীনতা ভুগছে। তাদের আবার ৬০% রক্ত স্বল্পতায় ভুগছে। এ অবস্থা কেবল নারীদেরই নয়, তাদের সন্তানদের জন্যও সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুষ্টিহীনতা নবজাতকের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়েছে। এতে ভ্রুণের বিকাশকে বিঘ্নিত করে। যাতে শিশুর পুষ্টি, বিকাশ, শিক্ষা ও ভবিষ্যতে উপার্জনের ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ২ বছরের কম বয়েসি ৫ কোটি ১০ লাখ শিশু খর্বাকৃতির। এসব শিশুর অর্ধেকই মাতৃগভে থাকা অবস্থায় ও জন্মের প্রথম ছয় মাসে আকৃতি বিশিষ্ট হয়। এসব তাদের পুষ্টি পুরোপুরি মায়ের পুষ্টির ওপর নির্ভর করে।
সংস্থাটির হিসেবে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১২টি দেশে গর্ভবর্তী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের মারাত্মক পুষ্টিহীনতা ২৫% বেড়ে ৫৫ লাখ থেকে ৬৯ লাখে এসে দাঁড়িয়েছে। এসব দেশ খাদ্যাভাবে রয়েছে।
ইউনিসেফের প্রধান নির্বাহী ক্যাথেরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরবর্তী অনেক প্রজন্ম পর্যন্ত এর পরিণাম ভোগ করতে হবে।
তিনি বলেন, শিশুদের পুষ্টিহীনতা রোধ করতে চাইলে আমাদের অবশ্যই নারী ও কিশোরীদের পুষ্টিহীনতা দূর করতে হবে।