পবিত্র শবেবরাত। ভাগ্য রজনীর রাত। এ রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি মসজিদে মসজিদে পাপ থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
খোঁজ নিয়ে যায়, পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে উপজেলার অনেক জায়গায় বড় পরিসরে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল থেকে এসব মসজিদে বক্তারা বয়ান করছেন। চলবে সারারাত পর্যন্ত। এছাড়া সবগুলো মসজিদে সন্ধ্যা ও এশার নামাজের পর থেকে শবেবরাতের ফজিলত সম্পর্কে বয়ান রাখছেন মসজিদের ইমাম ও খতিবগণ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর উপজেলার ফুলবাড়ি বড়মোকাম, ঘোগারকুল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মোকামে গেলে দেখা যায়, দলবেঁধে পরিবারের ছোট-বড় সবাই নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের কবর জিয়ারত করছেন। কেউ বা নিরিবিলি কবরস্থানের সামনে দাঁড়িয়ে জিয়ারত করছেন। এছাড়া মসজিদে মসজিদে কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির করছেন মুসল্লিরা। সারারাত চলবে এভাবে ইবাদত।
ষাটোর্ধ্ব ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘হয়তো আজকের রাত জীবনের শেষ রাত হতে পারে। তাই যথাসম্ভব আজকের রাতটি ইবাদত বন্দেগিতে পার করব।’
এর আগে, দুপুরে গোলাপগঞ্জ বাজারে গেলে দেখা যায়, শবেবরাতের রাতে ভাল খাবার খেতে গরুর গোস্তের দোকান, মুরগির দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। বিভিন্ন বাজারে গরুর গোস্ত ৮শ থেকে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত ও মুরগির কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
মফিক আলী নামে এক দিনমজুর বলেন, ‘মুরগির দাম বাড়ার পর থেকে মুরগি কিনে খেতে পারি নাই। যেহেতু আজকের রাতে সবাই ভাল কিছু দিয়ে খেতে চায়। তাই কষ্ট করে হলেও ৭ জনের পরিবারে ২৩০ টাকা করে দেড় কেজি মুরগি কিনেছি।’