যুক্তরাজ্যে ডিম ও টমেটো নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম ও অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েকটি চেইন সুপার শপ টমেটো বিক্রির ক্ষেত্রে সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্রেক্সিটের পর থেকেই যুক্তরাজ্যে তাজা শাকসবজির সরবরাহ কমে যায়। ইউরোপ থেকে যুক্তরাজ্যে নানা জটিলতায় শাকসবজি আসা কমে যায়। করোনা ও পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের মতো যুক্তরাজ্যেও জ্বালানির দাম বাড়ে। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে সবজির দামও। সর্বশেষ আফ্রিকান অঞ্চলে ফলন ভালো না হওয়ায় এবং তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে যুক্তরাজ্যে শাকসবজির বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, আফ্রিকা অঞ্চল ও তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ সবজি আসতো যুক্তরাজ্যে। ফলন বিপর্যয় ও ভূমিকম্পের পর এ দুটি দেশ থেকে সবজি আসা কমে গেছে। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। ডিম, টমেটো, শসা, ব্রকলিসহ নানা রকমের সবজির দাম বেড়ে গেছে। অনেক চেইন সুপার শপে এ দুটি পণ্য দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এতে অনেক ক্রেতাই ডিম ও টমেটো না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন।
লন্ডনে বসবাসরত মুন্না মিয়া বলেন, ৬টি ডিমের দাম এক লাফে ১.২৫ পাউন্ড থেকে ৩\৪ পাউন্ডে চলে গেছে। এক ডজনের দাম তিন গুন হয়ে গেছে। ডিম মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে নেই।
লুটনের আনোয়ার হোসেন বলেন, সালাদের জন্য লিডল ও টেসকোতে গিয়ে টমেটো পাইনি। পরে গ্রোসারি শপ থেকে কিনেছি। তবে দাম বেড়েছে অনেক।
উজানভাটি গ্রোসারি শপের স্বত্ত্বাধিকারী সুহেল আহমদ বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টমেটোসহ বেশ কিছু সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় সব সবজির দাম বেড়ে গেছে, যার চাপ পড়ছে ক্রেতাদের ওপর।