হাওর রক্ষা বাঁধের কাজে ধীরগতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ।
বুধবার (১ মার্চ) নিজের কার্যালয়ে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহ দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরুর কথা। কিন্তু অব্যবস্থাপনা ও অনৈতিকতার আশ্রয় নেওয়ায় প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদনে বিলম্ব হয়। এ কারণে কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়। এখনও জেলার ১২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজারে দুর্বাঘাস লাগানো ও কমপ্যাকশন বাকি রয়ে গেছে। সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ১২ উপজেলার অন্তত পাঁচ শতাধিক পিআইসির কাজ পরিদর্শন করে এমন দৃশ্য দেখেছেন।
স্মারকলিপিতে হাওর আন্দোলনের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাওরের ফসল রক্ষা ও বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ঠেকাতে ১০ দফা দাবি জানান। যার মধ্যে রয়েছে, হাওরের নদ-নদী, খাল-বিল খননের বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ, খননের চলমান প্রকল্পগুলো কঠোর নজরদারিতে নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মনিটর বাড়ানো, প্রকল্পভুক্ত জলমহাল বাধ্যতামূলক খননের আইন মানতে ইজারাদারদের বাধ্য করা। এছাড়া হাওর এলাকায় বিএডিসি, মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের খনন কাজে দুর্নীতি-অনিয়ম রোধ, অপ্রয়োজনীয় ও হাওরের প্রাণ-প্রকৃতিবিরোধী প্রকল্প বাস্তবায়ন বন্ধ করা, কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ যথাযথভাবে মানা, অকৃষকদের পিআইসিতে যুক্ত না করা এবং সবার সামনে গণশুনানি করে সেখানেই পিআইসি ঘোষণা ইত্যাদি।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী, সহসভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল ভট্টাচার্য, বাঁধবিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্রচার সম্পাদক আনোয়ারুল হক, সংগঠনের সুনামগঞ্জ শাখা সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ নূর আহমেদ, সদস্য চন্দন রায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সভাপতি স্বপন দাস প্রমুখ।