প্রাথমিকে বৃত্তি পেল ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী

ফাইল ছবি

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার (২০২২) ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ফলাফল প্রকাশ করেন।

পঞ্চম শ্রেণিতে ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ‍্যে ট‍্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার, যা আগে ছিল ২২ হাজার এবং সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন, যা আগে ছিল ৩৩ হাজার। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি পাবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধদিপ্তরের ওযবেসাইট www.dpe.gov.b, মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd, স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা পরস্থিতির কারণে প্রাথমকি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি প্রদান করা সম্ভব হয়নি। ২০২২ সালের ২৮ নভম্বের প্রাথমিক ও গণশক্ষিা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠতি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর একযোগে সারাদেশে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও জানানো হয়, এবারের পরীক্ষায় ৫ লাখ ৩৯২ জন নিবন্ধন করে অংশ নেয় ৪ লাখ ৮২ হাজার ৯০৪ জন। উপজেলা/থানার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার অনুপাতে উপজেলা/থানা কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি বন্টন করা হয়। সাধারণ বৃত্তি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ওয়ার্ডভিত্তিক বিতরণ করা হয়।

এ বছর সাধারণ গ্রেডে বৃত্তির ক্ষেত্রে ৮ হাজার ১৪৫টি ইউনিয়ন/পৌরসভা ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৬টি (৩জন ছাত্র ও ৩জন ছাত্রী) হিসেবে ৪৮ হাজার ৮৭০টি এবং অবশিষ্ট ৬৩০টি বৃত্তি হতে প্রতিটি উপজেলা/থানায় ১টি করে ৫১৩টি উপজেলা/থানায় ৫১৩টি সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও ২০১৫ সাল থেকে বাড়ানো হয়েছে। আগে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রাপ্তদের মাসে ২০০ টাকা করে দেওয়া হলেও ২০১৫ সাল হতে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে এ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া উভয় ধরণের বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি বছর ২২৫ টাকা করে এককালীন দেওয়া হচ্ছে।

পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট নম্বর ছিল ১০০ এবং সময় ছিল ২ ঘণ্টা।

এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।