কোম্পানীগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশুর

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সীমান্তে ভারত থেকে পাচার করা চিনি বহনকারী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক শিশু নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যু হয় শিশুটির।

নিহত শিশুর নাম মো. নাঈম (১১)। সে উপজেলার উত্তর রণীখাই ইউনিয়নের বিজয়পাড়ুয়া (মাঝেরগাঁও) গ্রামের আল আমিনের ছেলে।

জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জের উত্তর রণীখাই ইউনিয়ন চোরাকারবারিদের জন্য নিরাপদ স্থান। এই ইউনিয়নের কালাইরাগ, মাঝেরগাঁও, উৎমা, লামাগ্রাম ও দমদমা দিয়ে নিয়মিত চোরাচালান হয়ে থাকে। চিনি, মাদক, গরু-মহিষ কোনো কিছুই বাদ যায় না।

স্থানীয়রা জানান, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল দিয়ে অবৈধ মাদক, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করা হয়। নম্বরবিহীন এসব মোটরসাইকেল খুবই বেপরোয়া গতিতে চলে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। অবৈধ এসব মোটরসাইকেল দিয়ে পাচার ঠেকাতে না পারলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটবে।

নিহতের বাবা আল আমিন জানান, বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভারত থেকে চিনি পাচারের সময় বিজিবি একটি মোটরসাইকেলকে ধাওয়া দেয়। তখন মোটরসাইকেলটি বেপরোয়া গতিতে ছুটতে থাকে। বেপরোয়া গতির কারণে রাস্তায় সে আমার ছেলের ওপর মোটরসাইকেলটি উঠিয়ে দেয়। এতে মারাত্মক আহত হয় নাঈম। তাৎক্ষণিক নাঈমকে নিয়ে আমরা হাসপাতালে যাই। শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নাঈম মারা যায়।

উৎমা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার তারিকুল বলেন, পাচারকৃত চিনিসহ মোটরসাইকেলটি ক্যাম্পে আনা হয়েছে। বিজিবি অবৈধ পাচার বন্ধে প্রয়োজনীয় টহল জোরদার করেছে।

উত্তর রণীখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান বলেন, হাসপাতাল থেকে শিশুটির বাবা আমাকে ফোনে বিষয়টি বলেছেন। অবৈধ পাচারকারীর মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শিশুটি আহত হয়েছিল। তাদেরকে আইনের দারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। অবৈধ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বিজিবি ও পুলিশের আরও জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এমএজি ওসমানী মেডিকেলে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।