মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট নুরুল ইসলাম খানের জানাযার নামাজ (মঙ্গলবার) ২১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রথম জানাযা নামাজ বাদ আসর সিলেটস্থ হযরত শাহজালাল (র.) দরগা মসজিদে ও দ্বিতীয় জানাযা বাদ এশা বিশ্বনাথ দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসা মাঠে এবং তৃতীয় জানাযা মরহুমের নিজ গ্রাম পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের শ্রীধরপুর গ্রামের অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযার নামাজ শেষে নুরুল ইসলাম খানকে মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাযার ইমামতি করেন মরহুমের ভাতিজা ফখরুল ইসলাম খান। জানাযার নামাজে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ।
বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নোমান আহমদের পরিচালনায় জানাযা নামাজ পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, বিশ্বনাথ সরকারি ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভাপ্রোপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবীবুর রহমান, সরদের প্রবীণ ব্যবসায়ী উলফত আলী, প্রবাসী সাংবাদিক বিশিষ্ট লেখক রহমত আলী, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আলতাফুর রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এডভোকেট নুরুল ইসলাম খান দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট নগরির একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল (৭৭) বছর। তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র, ২ কন্যা-নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।