হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় প্রসূতির জরায়ুতে ভাঙা সুই রেখেই সেলাই করার দেড় মাস পর ফের অস্ত্রোপচার করে তা বের করা হয়েছে।
লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ ঘটনাটি প্রায় তিন মাস আগের হলেও শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তা জানাজানি হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী শামসুল আরেফীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসূতি শিপা আক্তার (১৯) লাখাই উপজেলার মোড়াকরি ইউনিয়নের জিরুন্ডা গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী।
মনিরুল ইসলাম জানান, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর শিপা আক্তারের প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে মিডওয়াইফ রুবিনা আক্তারের তত্ত্বাবধানে নরমাল ফরসেফ ডেলিভারির মাধ্যমে শিপার কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।
ডেলিভারির সময় শিপার জরায়ুর কিছু অংশ কাটতে হয়েছিল। কাটা স্থান সেলাইয়ের সময় সুইটি ভেঙে যায় এবং ভাঙা সুইয়ের একটি টুকরো জরায়ুর ভেতরে রেখেই সেলাই করে দেন মিডওয়াইফ।
এর কয়েকদিন পর থেকে শিপা পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করতে থাকেন ও নানা উপসর্গ দেখা দেয়। ১৮ নভেম্বর তিনি একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্স-রে করে দেখতে পান জরায়ুতে ভাঙা সুইয়ের একটি অংশ থেকে গেছে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ফের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ভাঙা সুইয়ের অংশটি বের করা হয়েছে। তবে তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি।
এ বিষয়ে জানতে মিডওয়াইফ রুবিনা আক্তারের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী শামসুল আরেফীন বলেন, ভুক্তভোগী নারীকে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।