মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক এইচ শোলে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অনেক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি একসঙ্গে কাজ করার সমান সুযোগ রয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন শোলে। বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিং এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনের বিশেষ উপদেষ্টা।
শোলে বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। আমাদের ৫১ বছরে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব। আমরা পরবর্তী ৫১ বছর একসঙ্গে কাজ করতে চাই। সামনে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ এবং একসঙ্গে কাজ করার সমান সুযোগও রয়েছে। দু’দেশের অর্থনীতি ও নিরাপত্তা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন আগ্রহী বলে জানান শোলেট।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখানে এসেছি, কারণ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। আজকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আমাদের খুব ভালো বৈঠক হয়েছে। আতিথেয়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে শোলে বলেন, বাংলাদেশ এ অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কী করছে এটি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি, বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা প্রতিদিন কাজ করছি, বাংলাদেশকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এ সংকট মোকাবিলার মূল কারণ মিয়ানমারে অভ্যন্তরে।
দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন শোলে। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। সফরের শুরুতে আজ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সন্ধ্যায় শোলের ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।