সিলেট বিভাগের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে বর্ণিল আয়োজনে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করা হয়েছে। বসন্ত বরণে নাচ, গান, কবিতা, মেহেদি উৎসবে মঙ্গলবার মাতোয়ারা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
বসন্ত বরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, ‘মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি সবসময় বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন করে। নিজস্ব কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালনের মাধ্যমেই আমরা শিক্ষার্থীদের বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে অনন্য একটি দেশ যেখানে ছয়টি ঋতু রয়েছে। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে প্রকৃতি সেজেছে বর্ণিলরূপে। শীতের নির্জীবতা ভেঙে প্রকৃতিতে বইছে ফাগুনের হাওয়া।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপরূপ সাজে সেজেছে। সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পর্যটকরা আমাদের ক্যাম্পাস দেখতে ও সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর এমও রহমান চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটি প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে সুবিশাল ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি এটিকে সৌন্দর্যমন্ডিতও করেছেন।’
বসন্তবরণ উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব আইন ও বিচার বিভাগের প্রধান গাজী সাইফুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. তাহের বিল্লাল খলিফা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও প্রক্টর প্রফেসর ড. জামাল উদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মো. মাহফুজুল হাসান, ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের প্রধান মো. মাসুদ রানা, ইংরেজি বিভাগের প্রধান অনিক বিশ্বাস, সফটওয়ার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নওশাদ আহমেদ চৌধুরী, রেজিস্ট্রার তারেক ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
বসন্তবরণ উৎসবে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনার অংশ হিসেবে নাচ, গান, কবিতা ও নাটকে অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা বসন্তের বর্ণিল রঙের মতোই নিজেদের সাজিয়ে এ আনন্দঘন উৎসবে যোগ দেন। এ ছাড়াও বসন্ত বরণকে কেন্দ্র করে দুদিন ধরে ক্যাম্পাসে চলে মেহেদি উৎসব। বসন্ত বরণের এই উৎসবে স্পন্সর হিসেবে ছিল এসিআই মটরস এবং মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড ইয়ামাহা কোম্পানি লিমিটেড।