এ যেন ফাইনালের আগে ছিল আরেক ফাইনাল। যে ফাইনালে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে কুপোকাত রংপুর রাইডার্স।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই বাংলায় দ্বিতীয় এলিমিনেটরের হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিপিএলের ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
বিপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজার ছোঁয়ায় এ যেন বদলে যাওয়া এক সিলেট। আগের আসরগুলোতে যেখানে তলানিতে ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি, এবার মাশরাফি নামক এক জাদুকরের স্পর্শে বাইশগজে দ্যুতি ছড়াচ্ছে তারা। আসরের শুরু থেকেই দারুণ দাপট দেখিয়েছে সিলেট। এবার প্রথমবারের মতো নিশ্চিত হলো ফাইনালও।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি শিরোপার লড়াইয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে লড়বে মাশরাফি বাহিনী।
এর আগে প্রথম ইনিংসে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দারুণ শুরুই করেছিল সিলেট। শুরুতে শান্ত এবং তৌহিদ হৃদয় ভালো শুরু এনে দেন দলকে। তবে দলীয় ৬৫ রানে হাসান মাহমুদের শিকারে পরিণত হয়ে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে বিদায় নেন হৃদয়। তখনো ব্যাট হাতে অবিচল শান্ত।
তিনে নামা মাশরাফি মুর্তজা এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী হয়ে ব্যাট করতে থাকেন। ৪০ রানে থাকা অবস্থায় লেগ বিফোরের ফাঁদে ফিরে যান শান্তও। এরপরই আবার সিলেট শিবিরে আঘাত ডোয়াইন ব্রাভোর, ২৮ রানে থাকা অবস্থায় মাশরাফিকে প্যাভিলিয়নে পাঠান এই পেসার।
এছাড়া দলের হয়ে বড় রান পাননি জাকির হাসান, মুশফিকুর রহিম কিংবা রায়ার বার্লরা। ১৪২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর জর্জ লিন্ডেকে নিয়ে লড়াই করতে থাকেন থিসারা পেরেরা। শেষ পর্যন্ত এই দুই ব্যাটারের ৩৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। পেরেরা ২১ রানে থাকা অবস্থায় রান আউটে কাটা পড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত লিন্ডে অপরাজিত থাকেন করেন ২১ রান। দলের রান গিয়ে দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৮২ রান।
সিলেটের দেওয়া ১৮৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে শেষ ১৮ বলে ৩৩ রানের লক্ষ্য ছিল রংপুরের। ক্রিজে ছিলেন দুই থিতু হয়ে যাওয়া ব্যাটার রনি তালুকদার ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। জয়ের পাল্লা ভারি ছিল রংপুরেরই। তবে প্রতিপক্ষের নাটাই যখন মাশরাফির হাতে, কিছু ঝলকের অপেক্ষায় ছিলেন সিলেট সমর্থকরা।
১৮তম ওভারে মাশরাফি বল তুলে দিলেন তরুণ তানজিম সাকিবকে। আস্থার প্রতিদান দিতেও ভুললেন না। একই ওভারে রনি ও সোহানকে সাজঘরে ফিরিয়ে কার্যত ম্যাচটা তখনই বের করে ফেলেছেন। এরপর ক্রিজে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন ব্রাভো ও শেখ মেহেদীরা। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ ১৮ বলে রংপুর তুলতে পেরেছে কেবল ১৩ রান। মাশরাফির বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব ও বোলারদের কল্যানে সিলেট ১৯ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।