হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি এখন ওপেন সিক্রেট। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলা সদরে চেক পোস্ট বসিয়ে পরিবহনগুলোর কাগজপত্র তল্লাশির নামে চলছে এ চাঁদাবাজি।
ফিটনেসবিহীন বাস মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করলেও সেগুলোর কাগজপত্র চেক করা হয় না বললেই চলে। মহাসড়ক দিয়ে ট্রাক্টর বোঝাই বালু ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে চলাচল করলেও সেগুলোর কাগজপত্র দেখা তো দূরের কথা, থামার জন্য সিগন্যাল পর্যন্ত দেয়া হয় না।
একটি বিশেষ সূত্রে জানা যায়, ট্রাক্টরগুলো মাসিক মাসোহারা দিয়ে চলাচল করছে। তাই ট্রাক্টরগুলো আটক করা হয় না।
গত শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা সদরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ডাক বাংলোর পাশেই একটি গাছ বোঝাই ট্রাক্টর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ট্রাক্টরটির বিপরীত পাশে (পূর্ব পাশে) একজন ট্রাফিক সদস্য দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন ট্রাক্টরের চালক আবুল খায়েরের সাথে। ২/৩ মিনিটের কথা শেষে চালক আবার ফিরে আসেন ট্রাক্টরের কাছে।
এ সময় কথা হয় ট্রাক্টরের চালক আবুল খায়েরের সঙ্গে। তিনি জানান, গাছ নিয়ে যাওয়ায় ট্রাফিক পুলিশ ট্রাক্টরটি আটক করেছে। ট্রাফিক পুলিশকে ২০০ টাকা দিতে হয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশকে টাকা কেন দিলেন জানতে চাইলে তিনি জানান, শুধু গাছ নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০০ টাকা দিতে হয়েছে।
পাশেই দেখা যায় মাধবপুর ট্রাফিক অফিসের নাজমুল নামে একজন কর্মকর্তাকে। ট্রাক্টর থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কে টাকা নিয়েছে তিনি জানেন না।