সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তেতলিতে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুইজনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রথমে প্রাণ হারায় ১০ বছরের এক শিশু। সম্য নামের ওই শিশুটি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কমলাকলস গ্রামের সন্তোষ দে’র মেয়ে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দীগেন্দ্র কুমার দে’র ছেলে বাবুল দে (৫০)।
এ দুর্ঘটনায় আহত আরও ৪ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন সন্তোষ দে, তার স্ত্রী রিতা দে, মেয়ে মৌ দে ও বৃষ্টি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান তালুকদার ও ওসমানী হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মো. জনি চৌধুরী।
ওসি কামরুল হাসান তালুকদার জানান, সন্তোষ দে পরিবার নিয়ে প্রাইভেটকারে করে সিলেটের মেজরটিলা এলাকায় একটি বিয়েতে আসছিলেন। দক্ষিণ সুরমার তেতলি এলাকায় আসার পর হবিগঞ্জগামী ‘হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস’ নামক বাসের সাথে তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারে থাকা ৬ জন গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সম্য নামের শিশুকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর সন্ধ্যায় মারা যান বাবুল দে।