পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা সেভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে বার্সেলোনা। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রথমার্ধ থেকে আগ্রাসী খেলা বার্সা গোলের দেখা না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল উৎসবে ৩-০ ব্যবধানে সেভিয়াকে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে।
অপরদিকে একেই দিনে মায়োর্কার মাঠে ১-০ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ফলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মাদ্রিদের এ পরাজয়ে ৮ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে শীর্ষস্থান শক্ত করল বার্সেলোনা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই গোল পেতে সবকিছুই করেছে জাভি হার্নান্দেজের শীষ্যরা। একের পর এক আগ্রসী খেলায় বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল সেভিয়াকে। এতো কিছুর পরও প্রথমার্ধে গোল শূন্য নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
অপরদিকে বিরতিতে থেকে এসে গোল পেতে মরিয়া বার্সা ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে আরও চেপে ধরে। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা বার্সা মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্ক কেসি দারুণ এক পাস দেন জটলার মধ্যে দাঁড়িয়ে সেটিকে জালে জড়ান জর্ডি আলবা। তাতে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রথম লিড নিয়ে নেয় বার্সা।
এক গোলে পিছিয়ে থেকে সেভিয়া নিজেদের সাজিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু ৭০ মিনিটে গাভির গোলে বার্সার ব্যবধান দিগুণ করে নেয়। ফলে ২-০ তে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ থেকে কিছুটা ছিটকে যায় সেভিয়া।
অপরদিকে ৭৯ মিনিটে রাফিনহা সেভিয়ার জালে শেষ পেরেকটি টুকে দিয়ে জয় নিশ্চিত করে জাভির দল। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। এই জয়ে ক্লাবটি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ৮ পয়েন্ট এগিয়ে গেল।
অন্যদিকে এদিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ও মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচে নামে। তবে ১-০ তে প্রতিপক্ষের মাঠে হোচট খেয়ে বার্সা থেকে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়ে লস ব্লাঙ্কোসরা। এদিন মায়োর্কার মাঠে দুর্ভাগ্য পেয়ে বসেছিল কার্লো আনচেলত্তির দলকে। প্রথমার্ধের ১৩ মিনিটেই আত্মঘাতী গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল।
ফলে প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর গোলের দেখা না পেলে ১-০ নিয়ে বিরতিতে যায় দুইদল। দ্বিতীয়ার্ধে এসে আগ্রসী খেলতে থেকে আনচেলত্তির শিষ্যরা। ফলে ম্যাচে ফেরার সু্যোগও আসে ৫৭ মিনিটে। ডি বক্সে ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় রিয়াল। সেই সুযোগ নষ্ট করে মায়োর্কার গোলরক্ষক রাজকোভিচ। শেষ পর্যন্ত মাদ্রিদ গোলের দেখা না পেলে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আনচেলত্তির দলকে।