দিরাইয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুবার্ষিকী পালন

মুক্তিযুদ্ধের সাব-সেক্টর কমান্ডার, সাবেক মন্ত্রী, জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে তাঁর জন্মস্থান সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেছে।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭ টায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগসহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে শোক র‌্যালি বের করা হয়। শোক র‍্যালি শেষে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এছাড়া দিরাই প্রেসক্লাব, সুরঞ্জিত সেন স্মৃতি পরিষদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও মহিলা কলেজের পক্ষ থেকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

বেলা ১টার দিকে আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গণে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় ও আওয়ামী লীগ নেতা মারফত মিয়ার পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিন।

এছাড়া বক্তব্য দেন, দিরাই পৌরসভার মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, ইশতিয়াক শামীম, লুৎফর রহমান এওর মিয়া, আসাদ উল্লাহ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট অবিরাম তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক, করিমপুর ইউপির চেয়ারম্যান লিটন চন্দ্র দাস, শৈলেন চন্দ্র দাস, তাহের সর্দার, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন, যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম, ইকবাল সর্দার, কাউন্সিলর লিটন রায়, সোয়েব চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা সায়েল চৌধুরী, সজীব নুর প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ষাটের দশকের উত্তাল রাজনীতি থেকে উঠে আসা নেতা। সংসদীয় আইন প্রণয়নে তাঁর ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আওয়ামী রাজনীতিতে ছিলেন অপরিহার্য নেতৃত্বে। তিনি দীর্ঘ ৫৯ বছর রাজনীতি করেছেন দাপটের সঙ্গে। যেকোনো জটিল বিষয় হাস্যরসের মাধ্যমে বলার অসামান্য ক্ষমতা ছিল তাঁর। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ৫ নম্বর সেক্টরের অধীনস্থ টেকেরঘাট সাব-সেক্টরে প্রথম সাব-সেক্টর কমান্ডার ও একজন সংগঠক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একজন কনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন তিনি। সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ১৯৪৫ সালের ৫ মে দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।