হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কদুপুর গ্রামে মাদ্রাসাছাত্র বিলাল মিয়া (৯) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। চারজন মিলে দলবদ্ধ বলাৎকারের পর শিশুটিকে হত্যা করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার ও দোষ স্বীকার করে একজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের তিনজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব।
এর আগে হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলাম শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬৪ ধারায় একজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জবানবন্দি দেওয়া ব্যাটারচালিত ইজিবাইকচালক লায়েক আহমদ হৃদয় (২০) নোয়াগাঁও গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, শনিবার গ্রেপ্তার তিন শিশু ও হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লায়েককে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে লায়েক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে গত শুক্রবার সকালে বোরো ধানের জমি থেকে নোয়াগাঁও গ্রামের ঈমান উদ্দিনের ছেলে ও কদুপুর মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র বিলালের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বিলালের বাবা বানিয়াচং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি জানান, নিহত বিলালের বাবার বাড়ি নোয়াগাঁওয়ে। কিন্তু তারা পরিবারসহ কদুপুরে নানাবাড়িতে থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার কদুপুর মিছবা-উল-উলুম মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষে মেলা বসে। সন্ধ্যা ৬টায় বিলাল সেখানে খেলনা কিনতে গিয়েছিল। সেখান থেকে সে লায়েকের ইজিবাইকে ওঠে। এ সময় মেলায় চটপটি খাচ্ছিল আরও তিনটি শিশু। যাদের দুইজনের বয়স ১৬ ও অন্যজনের ১৭ বছর। লায়েক ওই তিন শিশুকেও ইজিবাইকে ওঠান।
ইজিবাইকটি একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যান লায়েক। সেখানে প্রথমে লায়েক ও পরে অন্য তিন শিশু বিলালকে বলাৎকার করে। বিলাল বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে জানাবে বললে চারজন মিলে তার নাক ও গলা টিপে ধরে হত্যা করে। পরে মরদেহ কাদায় লুকিয়ে রেখে যে যার বাড়ি চলে যায়।
পুলিশ তদন্তে নেমে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর বিলালের বাবা হত্যা মামলা দায়ের করলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।