আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ আবারও পিছিয়েছে।
আজ রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা থাকলেও তারা উপস্থিত না হওয়ায় আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর সারোয়ার হোসেন আবদাল। তিনি জানান মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি।
সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারিত থাকায় আজ আদালতে হাজিরা দেন মামলার আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের মেয়র জিকে গৌছসহ কয়েকজন। মামলার ৩২ আসামির মধ্যে মেয়র আরিফসহ ১২ জন জামিনে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১০ জন কারাগারে ও বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
২০০৫ সালর ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচ জন। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর একাধিক তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২০ জুন লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নানসহ ২৪ জনকে আসামি করে অধিকতর তদন্তের চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আদালতে দাখিল করা হয়। এতে নারাজি দেন কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া। একাধিকবার চার্জশিট ও নারাজির মধ্যে মামলার তদন্ত চলে বেশ কয়েক বছর। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সিআইডি সিলেট রেঞ্জের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এই মামলার বিচার কাজ চলছে।