শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের আয়োজনে দ্বিতীয় বারের মতো আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে চারটি কী নোট অধিবেশন ও ২৮টি প্যারালাল অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৪টি দেশের ২৫০ জন গবেষকের ১৬৬টি নিবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কৃত্তিবাস পালের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
এ সময় অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং বাস্তুতন্ত্রের অখণ্ডতার সঙ্গে আপস না করে মানুষের সম্ভাবনার উন্নয়ন হলো টেকসই উন্নয়ন।
বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিতে আলোকিত মানুষের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারাই আলোকিত মানুষ, যারা টেকসই সমাজ উন্নয়নের গতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেন। সেজন্য টেকসই সমাজ উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো কাঠামোগত এবং পদ্ধতিগত হওয়া উচিত। সমাজকর্ম বিভাগে এই পদ্ধতিগুলো উন্নয়নের মাইলফলক অর্জনের পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করতে পারে।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার ইউনিভার্সিটাস বায়াঙ্কারার সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. আদি ফাহরুদ্দিন এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, সমাজকর্ম শুধু গ্রাজুয়েটদের বিভিন্ন ধরনের পেশাগত ভূমিকা পালন করতে তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক জ্ঞানই প্রদান করে না বরং তাদের অনন্য অবস্থানে রাখে, যাতে তারা নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারে। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন রাষ্ট্রের কল্যাণে সমাজকর্ম ও টেকসই সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মেলন সম্পর্কে বিবৃতি প্রদান করেন সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম মাহবুবুজ্জামান এবং সমাপনী বক্তব্য দেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন।