সুনামগঞ্জের হাওরের পানি কমে যাওয়ায় জলাশয় ও খাল-বিল শুকিয়ে গেছে। এতে প্রয়োজনীয় পানির অভাবে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। চাষাবাদ করতে না পারায় বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলছেন না কৃষকরা।
জেলার পাকনার হাওর, করচার হাওর, ছায়ার হাওর, হালির হাওর, নলুয়ার হাওর, শনির হাওর, মাটিয়ান হাওরসহ বড় বড় সব হাওরের উঁচু জমিতে সেচের পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে এখনো সেচ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেনি বলে দাবি করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সূত্রে জানা গেছে, বাজেট না থাকায় কৃষকের সেচের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না তারা। ফলে জেলা সদর, শান্তিগঞ্জ, জামালগঞ্জ, দিরাই, জগন্নাথপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজারসহ সাতটি উপজেলার হাজার হাজার কৃষক বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
কৃষকরা বলছেন, সুনামগঞ্জে বিল সেচে ও হাওরের বাঁধ কেটে মাছ ধরায় বোরো মৌসুমের শুরুতেই সেচ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এদিকে সুনামগঞ্জের দেখার হাওরের উঁচু জমি পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। হাওরে পর্যাপ্ত পানি ছাড়াই শুষ্ক জমিতে চাষ করছেন কৃষকরা। দেখার হাওরের কৃষক সাব্বির মিয়া জানান, কার্তিক মাস থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মাটি অনেক শুকিয়ে গেছে। সুরমা নদীতে সেচ প্রকল্প চালু করলে মোল্লাপাড়া, পান্ডারগাঁও, মান্নারগাঁওসহ তিন ইউনিয়নের কৃষক দেখার হাওরের উঁচু জমিতে চাষাবাদ করতে পারবেন।
সুনামগঞ্জ বিএডিসি (সেচ) সহকারী প্রকৌশলী কাজী হুসনে আরা রাফি জানান, বাজেট ও মেশিনারিজ সংকটের কারণে সেচ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, এখনো সেচ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেনি।